বিষাক্ত সাপের কামড় থেকে বাঁচতে করণীয়
প্রতি বন্যার সময় অর্থাৎ মে, জুন এবং জুলাই-এই তিন মাস সাপের দংশন এবং তার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ে। অন্য সময়ে সাপের দেখা লোকালয়ে কম হলেও বর্ষায় চারদিক পানি থাকায় সাপের দেখা মেলে বেশি। এজন্য এসময় প্রায়ই সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংবাদ শোনা যায়।
দেশব্যাপী পরিচালিত অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনসিডিসি) সর্পদংশন জরিপে দেখা যায়, দেশে প্রতিবছর ৪ লাখ ৩ হাজার ৩১৭ জন মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় এবং এতে ৭ হাজার ৫১১ জন মানুষ মারা যায়। প্রতিটি সর্পদংশনের কারণে চিকিৎসার জন্য দংশিত ব্যক্তির প্রায় ২ হাজার টাকা ব্যয় হয়।
দেশের আনাচে কানাচে ৮০ প্রজাতির সাপ ঘুরে বেড়ায়। এর মধ্যে মাত্র সাত থেকে আট প্রজাতির অত্যন্ত বিষধর সাপের কামড়ে মানুষ বেশি মারা যায়। তবে সচেতনতাই পারে বিষাক্ত সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সর্প দংশন প্রতিরোধের উপায়-
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বিষধর ৭ সাপ, চিনবেন যেভাবে
>> বেশিরভাগ সর্প দংশনের ঘটনা হয়ে থাকে পায়ে। কাজেই সাপ থাকতে পারে এমন জায়গায়, যেমন- ঘাসের মধ্যে কিংবা ঝোপ-ঝাড়ের ভেতর হাঁটার সময় বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। এজন্য পায়ে লম্বা জুতা বা বুট ব্যবহার করুন এবং অন্ধকারে হাঁটার সময় টর্চলাইট, লাঠি ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে হবে।
২. কখনো সাপ সামনে পড়ে গেলে ধীর-স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত। সাপ প্ররোচনা ছাড়া অনর্থক দংশন করে না।
৩. বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন। শয়নকক্ষের সঙ্গে খাদ্যসামগ্রী, যেমন- ধান-চাল কিংবা হাঁস-মুরগি, কবুতর ইত্যাদি না রাখাই ভালো।
৪. ঘুমানোর সময় মেঝেতে না ঘুমিয়ে খাটের ওপর মশারী ব্যবহার করে ঘুমাবেন। রাতের বেলায় মাচায় শোয়ার ব্যাপারেও বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন।
আরও পড়ুন: এ সময় সাপে কাটলে দ্রুত যা করবেন
৫. কোনো গর্তের মাঝে হাত কিংবা পা দেবেন না ও স্তূপিকৃত লাকড়ি অথবা খড় খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করুন।
৬. মাছ ধরার সময় ‘চাই’ কিংবা ‘জাল’র মধ্যে হাত দেওয়ার আগে সাপ আছে কি না তা দেখে নিন।
৭. দুর্ভাগ্যবশত যদি সাপ কামড় দিয়ে থাকে, শান্ত থেকে কারও সাহায্য নিতে হবে। সর্পদংশনের পর কখনো দৌড়ানো উচিত নয়। এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কেএসকে/জিকেএস