আজকের এই দিনে

সংগীতশিল্পী আজাদ রহমানের প্রয়াণ দিবস

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ১৬ মে ২০২৩

আজাদ রহমান ছিলেন একজন বাংলাদেশি সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পী। পাশাপাশি তিনি উচ্চাঙ্গ সংগীত ও খেয়াল গানের চর্চা করতেন। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের রবীন্দ্র ভারতী কলেজ থেকে খেয়ালে অনার্স সম্পন্ন করেন।

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন তিনি ফোক গান, কীর্তন, ধ্রুপদী সংগীত, খেয়াল, টপ্পা গান, তুমড়ি, রবীন্দ্র সংগীত, অতুল প্রসাদের গান, দিজেন্দ্র গীতি, রজনী কান্তের গান চর্চা করেন। একই সময়ে তিনি একজন খ্রিস্টান পুরোহিতের কাছ থেকে পিয়ানো বাজানো শেখেন। আজাদ রহমান পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।

আজাদ রহমানের চলচ্চিত্রে আগমন ১৯৬৩ সালে কলকাতার মিস প্রিয়ংবদা চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে। তার জনপ্রিয় কিছু গান-ভালোবাসার মূল্য কত, কারও মনে ভক্তি মায়ে, ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়, আকাশ বিনা চাঁদ থাকিতে পারে না, মনেরও রঙে রাঙাব, ফুলেরও ঘুম ভাঙাব, ও চোখে চোখ পড়েছে যখনি, এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি, অলিরা গুনগুন গুনগুন গুনগুনিয়ে, বন্দি পাখির মতো মনটা কেঁদে মরে, ওই মধু চাঁদ আর এই জোসনা, মাগো আমি তোর কান্না আমি সইতে পারি না ইত্যাদি।

তিনি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’-এর মত উল্লেখযোগ্য দেশাত্মবোধক গানের সুর করেছিলেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আজাদ রহমান ২০২০ সালের ১৬ মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।