আজকের এই দিনে

ফয়েজ আহমেদের জন্ম

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৬ এএম, ০২ মে ২০২৩

ফয়েজ আহমদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। ১৯২৮ সালের ২ মে ব্রিটিশ ভারতে ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগণার বাসাইলভোগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামটি বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্ভূত। তার পিতার নাম গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এবং মাতা আরজুদা বানু।

১৯৪৪ সালে কলকাতার সওগাত পত্রিকাতে লেখালেখির মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ভারত বিভাজনের পর ঢাকা চলে আসেন। তিনি পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৮ সালে মূলত মূল ধারার সাংবাদিকতা শুরু করেন।সে সময় তিনি ইত্তেফাক, সংবাদ, আজাদ ও পরবর্তীতে পূর্বদেশে পত্রিকায় প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে কাজ করেন।

১৯৫০ সালে ‘হুল্লোড়’ এবং ১৯৭১ সালে ‘স্বরাজ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৬৬ সালে পিকিং রেডিওতে বাংলা ভাষার অনুষ্ঠান শুরু করার জন্যে তিনবছর মেয়াদে নিযুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রথম প্রধান সম্পাদক নিযুক্ত হন। পরে দৈনিক বঙ্গবার্তার প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। সাংবাদিকতা করার সময় থেকে তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

ফয়েজ আহমদ প্রধানত শিশু-কিশোরদের জন্য ছড়া ও কবিতা লিখেছেন। তার বইয়ের সংখ্যা প্রায় একশ। ফয়েজ আহমদের বইগুলোর মধ্যে মধ্যরাতের অশ্বারোহী উল্লেখযোগ্য। এই বই সিরিজের বাকি দুইটি হলো-সত্যবাবু মারা গেছেন ও নন্দনে নন্দিনী। ছড়ার বইয়ের মধ্যে-হে কিশোর,কামরুল হাসানের চিত্রশালায়, গুচ্ছ ছড়া, রিমঝিম, বোঁ বোঁ কাট্টা, পুতলি টুং, জোনাকী, জুড়ি নেই, ত্রিয়ং, তুলির সাথে লড়াই, টিউটিউ, একালের ছড়া, ছড়ায় ছড়ায় ২০০ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিনি চীনসহ বিভিন্ন দেশের পাঁচটি বই অনুবাদ করেছেন। এর মধ্যে হোচিমিনের জেলের কবিতা উল্লেখযোগ্য।

১৯৭৬ সালে শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একুশে পদক প্রদান করে। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, নুরুল কাদের শিশু সাহিত্য পুরস্কার, মোদাব্বের হোসেন আরা শিশু সাহিত্য পুরস্কার, কবীর চৌধুরী শিশু সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।