নিউটনের জন্ম ও আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

৪ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার। ২০ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

স্যার আইজাক নিউটন
ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। ১৬৪৩ সালের ৪ জানুয়ারি লিংকনশায়ারের উল্সথর্প ম্যানরে জন্মগ্রহণ করেন। অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। ১৬৮৭ সালে তার বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশিত হয় যাতে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। বলবিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি রচনা করেছেন নিউটন। রৈখিক এবং কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্রের মাধ্যমে তিনি এই ভিত্তি রচনা করেন। গণিতের জগতেও নিউটনের জুড়ি মেলা ভার। নিউটন এবং গটফ্রিড লাইবনিৎস যৌথভাবে ক্যালকুলাস নামে গণিতের একটি নতুন শাখার পত্তন ঘটান। ১৭২৭ সালের ৩১ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন নিউটন।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম মঞ্জু। পৈতৃক বাড়ি বগুড়া জেলায়। দুইটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ ও একটি প্রবন্ধ সংকলন এই নিয়ে তার রচনাসম্ভার। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পরেই তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত বাংলাদেশি লেখক। তাকে সমাজবাস্তবতার অনন্যসাধারণ রূপকার বলা হয়েছে। তার জনপ্রিয় উপন্যাস- চিলেকোঠার সেপাই ও খোয়াবনামা। সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার, কাজী মাহবুবুল্লাহ স্বর্ণপদক, একুশে পদক (মরণোত্তর)। ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনা
১৮৬১- মাইকেল মধুসূদন দত্ত কর্তৃক রচিত মেঘনাদবধ কাব্য মহাকাব্য প্রকাশিত হয়।
১৮৭৭- বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক টমাস আলভা এডিসন ফোনোগ্রাম আবিষ্কার করেছিলেন।
১৮৮৫- প্রথম অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন হয়।
১৯২৭- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী উপন্যাসটি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়।
১৯৪৭- দিনাজপুরে কৃষক মিছিলে গুলি চালালে সাঁওতাল শিবরাম ও কৃষক ছমির উদ্দিন নিহত হন।
২০০৪- মঙ্গল গ্রহে নাসা প্রেরিত স্পিরিটের অবতরণ।

জন্ম
১৬৪৩- ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক ও উদ্ভাবক আইজ্যাক নিউটন।
১৭৮৫- জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ ও পুরাণবেত্তা ইয়াকপ গ্রিম।
১৮০৯- অন্ধদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুইস ব্রেইল।
১৯৫০- বাংলাদেশি কবি এবং সাহিত্য সমালোচক খোন্দকার আশরাফ হোসেন।
১৯৬৫- আশির দশক ও নব্বইয়ের দশকের ফরাসি টেনিস খেলোয়াড় গি ফোর্জে।
১৯৬৬- বাংলাদেশি সংগীত শিল্পী ফাহমিদা নবী।

মৃত্যু
১৯৩১- রাজনীতিবিদ ও খেলাফত আন্দোলনের নেতা মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
১৯৪১- নোবেল বিজয়ী ফরাসী দার্শনিক অঁরি বের্গসন।
১৯৬০- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আলজেরীয় সাহিত্যিক এ্যালবার্ট কাম্যু।
১৯৮৩- প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাগর সেন।
১৯৯৪- প্রখ্যাত ভারতীয় সংগীত পরিচালক রাহুল দেব বর্মন।
১৯৯৭- কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।

দিবস
বিশ্ব ব্রেইল দিবস।

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।