জাফর ইকবাল ও আলতাফ মাহমুদের জন্ম

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

২৩ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার। ০৮ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

মুহম্মদ জাফর ইকবাল
একাধারে কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনি লেখক, কলম লেখক, পদার্থবিদ, শিক্ষাবিদ ও আন্দোলনকর্মী। পিতার কর্মস্থল সিলেটে ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর জন্ম হয় তার। মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল বাবুল। তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার,
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তার লেখা কিছু উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা হচ্ছে- আমি তপু , দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, হাতকাটা রবিন, আকাশ বাড়িয়ে দাও, বিবর্ণ তুষার,
দুঃস্বপ্নের দ্বিতীয় প্রহর, কাচসমুদ্র, সবুজ ভেলভেট, পিশাচিনী, নিশিকন্যা ইত্যাদি।

আলতাফ মাহমুদ
একজন বাংলাদেশি সুরকার, সংস্কৃতিকর্মী ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা। একজন ভাষাসৈনিক এবং শহীদ দিবস নিয়ে রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটির বর্তমান সুরটি তারই করা। এই গানের সুরকার হিসেবেই তিনি সমধিক পরিচিত। একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার পাতারচর গ্রামে আলতাফ মাহমুদ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আলতাফ মাহমুদকে ঢাকার আউটার সার্কুলার রোডের বাসা থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ঘটনা
১৮৬০- উমেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘মনোহর’ প্রকাশিত হয়।
১৯১৮- বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯২২- রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৯৪৯- মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৫ - বসনিয়া শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৮- পৃথিবীর ১১তম ও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ যমুনা সেতু উদ্বোধন করা হয়।

জন্ম
১৯২০- পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর সাহেবজাদা ইয়াকুব খান।
১৯৩০- বাংলাদেশি সুরকার, সাংস্কৃতিক কর্মী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ।
১৯৪৩- মার্কিন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এলিজাবেথ হার্টম্যান।
১৯৫২- বাংলাদেশি লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

মৃত্যু
১৮৩৪- ইংরেজ অর্থনীতিবিদ ও জনমিতিবিদ টমাস ম্যালথাস।
১৯৯০- ওয়েল্সীয় সাহিত্যিক রুয়াল দাল।
২০০৪- ভারতের নবম প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও।
২০১১- বাংলাদেশের প্রখ্যাত ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।