নীহাররঞ্জন রায় ও আব্দুল জব্বারের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
৩০ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার। ১৫ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ঘটনা
১৭৯৯- দ্বিতীয় কোয়ালিশনের যুদ্ধে স্যার রাল্ফ অ্যাবারক্রম্বি এবং অ্যাডমিরাল স্যার চার্লস মিচেলের কমান্ডে পুরো ডাচ বহর ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।
১৮৫০- হনুলুলু শহরের মর্যাদা পায়।
১৮৬০- ব্রিটেনে প্রথম ট্রাম চালু হয়।
১৯১৪- প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা রাশিয়ানদের পরাজিত করে।
১৯৭১- দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের উদ্বোধন।
জন্ম
১৮৫২- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ রসায়নবিদ ইয়াকোবুস হেনরিকুস ফান্ট হফ।
১৮৭১- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নিউজিল্যান্ড ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ আর্নেস্ট রাদারফোর্ড।
১৮৮৪- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ রসায়নবিদ ও পদার্থবিদ থিওডোর সভেডবার্গ।
১৯৫১- ভারতীয় বাঙালি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত।
মৃত্যু
১৮৭৭- ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার ভারতীয় বাঙালি কবি তরু দত্ত।
১৯১১- বহুভাষাবিদ ভারতীয় বাঙালি পণ্ডিত হরিনাথ দে।
১৯৭৬- ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী ও প্রখ্যাত চিকিৎসক যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায়।
১৯৮১- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি ইতিহাসবিদ, সাহিত্য সমালোচক, শিল্পকলা-গবেষক, পণ্ডিত নীহাররঞ্জন রায়। ১৯০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ ফেলো হিসেবে নিযুক্ত হয়ে গবেষণায় ব্রতী হন। বৃত্তি নিয়ে ১৯৩৫ সালে ইউরোপ যান এবং হল্যান্ডের লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি এবং লন্ডন থেকে গ্রন্থাগার পরিচালনা বিষয়ে ডিপ্লোমা নেন। প্রাচীন ভারতে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একসময়ে সাংবাদিকতাও করেছেন। অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কারাবরণ করেন। সাহিত্যেও আছে তার উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা। পদ্মভূষণ, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কারসহ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০১২ সালে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ পান।
২০০১- বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আ ফ ম আহসানউদ্দিন চৌধুরী।
২০১৭- বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী আব্দুল জব্বার। ১৯৩৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের (বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সংগীতের তালিম নেন ওস্তাদ ওসমান গনি এবং ওস্তাদ লুৎফুল হকের কাছে। ১৯৫৮ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৬২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে বিটিভির নিয়মিত গায়ক হিসেবে পরিচিতি পান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’সহ অনেক উদ্বুদ্ধকরণ গানের গায়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তার গাওয়া ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ ও ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান তিনটি ২০০৬ সালে মার্চ মাসজুড়ে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান করে নেয়। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারের দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (১৯৮০) ও স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৬), বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক (১৯৭৩), বাচসাস পুরস্কার (২০০৩), সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-আজীবন সম্মাননা (২০১১) ও জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।
২০২২- সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ।
দিবস
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস।
কেএসকে/এসইউ/জিকেএস