মাইকেল জ্যাকসনের জন্ম ও বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৭ এএম, ২৯ আগস্ট ২০২২

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার। ১৪ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা
১৮৩১- মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ আবিষ্কার করেন।
১৮৩৫- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন নগর স্থাপিত হয়।
১৮৪২- নানকিন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে অ্যাংলো-চীন যুদ্ধ শেষ হয়।
১৯৫৩- সোভিয়েত ইউনিয়ন হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৯৫৬- খাদ্যের দাবিতে ঢাকায় ‘ভুখা মিছিল’ হয়।

জন্ম
১৬৩২- প্রভাবশালী ইংরেজ দার্শনিক জন লক।
১৮৬২- নোবেলজয়ী কবি ও নাট্যকার মরিস মেটারলিঙ্ক।
১৯২৩- ইংরেজ চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক এবং উদ্যোক্তা রিচার্ড স্যামুয়েল অ্যাটনবারা।
১৯৫৮- আমেরিকান গায়ক, গীতিকার এবং ডান্সার মাইকেল জ্যাকসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায় জন্ম তার। জ্যাকসন পরিবারের ৮ম সন্তান মাইকেল মাত্র ৫ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে পেশাদার সংগীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৭১ সাল থেকে একক শিল্পী হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। মাইকেলের গাওয়া ৫টি সংগীত অ্যালবাম বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে- অব দ্য ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)। তাকে পপ সংগীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী- ১৩টি গ্র্যামি পুরস্কার, ১৩টি ১নম্বর একক সংগীত এবং ৩৫ কোটিরও বেশি মাইকেলের অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ জুন তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে সারা পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

মৃত্যু
১৬০৪- মুঘল সম্রাজ্ঞী হামিদা বানু বেগম।
১৯৮১- বাঙালি লেখক ও অধ্যাপক ড. হাসান জামান।
১৯৯৪- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি সাংবাদিক তুষারকান্তি ঘোষ।
১৯৯৭- তেভাগা আন্দোলনের খ্যাতনামা নেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কংসারী হালদার।
২০২১- প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। ১৯৩৬ সালে কলকাতায় জন্ম হলেও তার ছোটবেলা কেটেছে বরিশাল ও রংপুরে। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সুপরিচিত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করেন। পেশাগত জীবন শুরু করেন চাটার্ড অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। প্রধান পরিচয় তিনি শিকার কাহিনি বা অরণ্যপ্রেমিক লেখক। কিন্তু অরণ্যানীর জীবন বা শিকার ছাপিয়ে তার রচনা ধারণ করেছে এক প্রেমিক সত্তাকে। এই প্রেমিক সত্তা একইসঙ্গে প্রকৃতি ও নারীকে অবিচ্ছিন্নভাবে ধারণ করেছে তার গল্প ও উপন্যাসে। তার সৃষ্টি ‘বাবলি’, ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘হলুদ বসন্ত’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’,‘কুমুদিনী’, ‘খেলা যখ’ এবং ‘ঋজুদা’ বাংলা কথাসাহিত্যের জগতকে সমৃদ্ধ করেছে তুলনারহিত আঙ্গিকে। তার রচিত ‘বাবা হওয়া’ এবং ‘স্বামী হওয়া’- এ দুইয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে পুরস্কারজয়ী বাংলা চলচ্চিত্র ‘ডিকশনারি’। শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও তিনি ছিলেন জনপ্রিয়। ‘জঙ্গলমহল’ তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। টিভি এবং চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে তার একাধিক গল্প উপন্যাস। ‘হলুদ বসন্ত’ উপন্যাসের জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৭৬ সালে। তিনি শিরোমন পুরস্কার ও শরৎ পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন। ৮৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

দিবস
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পরীক্ষা বিরোধী দিবস।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।