লজেন্স খেয়ে মাসে আয় ৫ লাখ টাকা

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, ০৫ আগস্ট ২০২২

অডিও শুনুন

ছোটরা তো বটেই, বড়দের বেলায়ও ক্যান্ডি বা লজেন্সের লোভ সামলানো কঠিন। আট থেকে আশি, সকলের কাছেই প্রিয় বস্তু টি। নানা রঙের, নানা স্বাদের লজেন্স যেমন স্বাদ মেটায়, তেমন মন ভালো করতেও সেরা। তবে আপনি যদি এটিই নয় চাকরি, আর এর জন্য আপনি বেতনও পাবেন মাসে ৫ লাখ টাকা।

অবিশ্বাস্য হলেও সম্প্রতি এমনই এক চাকরির খবর মিলেছে। এক বিখ্যাত লজেন্স প্রস্তুতকারক সংস্থা খুঁজছে একজন চিফ ক্যান্ডি অফিসার। এই চাকরির বিজ্ঞাপন শোরগোল ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরও মজার বিষয় হচ্ছে প্রার্থীর বয়স হতে হবে ৫ বছরের উপরে।

jagonews24

ক্যান্ডি ফানহাউজ নামের কানাডিয়ান সেই কোম্পানিতে কাজ করতে হবে লজেন্স টেস্টার হিসেবে। অর্থাৎ লজেন্স প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি লজেন্স টেস্ট করতে হবে। এর স্বাদ মান নির্ভর করবে আপনার দেওয়া স্বাদের উপর। প্রতিদিন আপনাকে খেতে হবে ১০০টিরও বেশি লজেন্স। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি মাসে সাড়ে তিন হাজার লজেন্স খেতে পারবেন। এরপর প্রতিটি লজেন্সের ক্ষেত্রে তার গুণগত মান ও স্বাদ নিখুঁতভাবে বর্ণনা করতে হবে।

আপনার দেওয়া সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৈরি হবে লজেন্স। যা বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে পড়বে। তাই একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই বিপদ। এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কানাডার ওই লজেন্স কোম্পানি আপনাকে বছরে ৬০ লাখের বেশি টাকা বেতন দেবে।

jagonews24

গত মাসে এই চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ওই কোম্পানি। তার পর থেকেই আবেদনের ঢল নেমেছে। ছোট থেকে বড় সকলেই আবেদন জানাচ্ছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক অভিভাবকই তাদের বাচ্চাদের জন্য আবেদন করছেন।

বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ৫ বছরের বেশি বয়স হলেই তবেই এই চাকরিতে আবেদন করা যাবে। আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত এই পদে চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে। এরই মধ্যে ৮ বছরের এক খুদে আবেদন করেছে এই পদের জন্য।

jagonews24

শুধু এই লজেন্স কোম্পানিই নয় বিশ্বের প্রায় সব ধরনের খাবার প্রস্তুতকারক সংস্থা টেস্টার নিয়োগ দেয়। চকলেট, স্ন্যাকস, কফি উৎপাদন সংস্থাগুলোতে অসংখ্য টেস্টার থাকে। তাদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৈরি হয় ফাইনাল পণ্যটি।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।