চুইংগামের বাবল ফুলিয়ে মাসে লাখ টাকা আয়

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২২

অবসরে কিংবা মুখের ব্যায়াম করতে চুইংগাম চিবান অনেকেই। তবে চুইংগাম চিবানোর মাঝে মাঝেই অনেকে মজার একটি কাজ করেন। সেটি হচ্ছে বাবল ফুলানো। ছোটরা তো বটেই বড়রাও এই কাজটি সব সময়ই করে থাকেন। তবে আপনি কাজটি কোনো কারণ ছাড়া করলেও বাবল ফুলিয়ে লাখ টাকা আয় করছেন এক নারী।

অবাক লাগলেও এই কাজই করছেন জার্মানির ৩০ বছর বয়সি জুলিয়া ফোরাত। জুলিয়ার এক আশ্চর্য প্রতিভা আছে। একসঙ্গে ৩০টি চুইংগাম চিবোতে পারেন তিনি। সেই চুইংগাম চিবিয়ে আবার বিশালাকার বাবলও ফোলাতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

jagonews24

তার ফোলানো এক একটি বাবলের আকার কখনো কখনো তার মাথার আকারের দ্বিগুনেরও বড় হয়। আর সেই বিচিত্র বাবলের ছবি এবং ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অজানা মানুষ জনকে বিক্রি করেন তিনি। এভাবেই মাসে গড়ে ৭০০ ডলার রোজগার হয় তার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৭ হাজার টাকা। তবে অনেক মাসে আয় আরও বেড়ে যায়। তখন তা গিয়ে দাঁড়ায় হাজার ডলারেরও বেশি। তবে এর জন্য তার খরচ হয় মাত্র ৫ ডলার।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তবে এই অভিনব ব্যবসা শুরুর কথা তার নিজের মাথায় আসেনি। জুলিয়ার বিরল প্রতিভা দেখে মজা করেই তার এক বন্ধু বলেছিলেন, ‘তুমি এগুলোর ছবি তুলে বিক্রি করতে পার।’ সেখান থেকেই শুরু। খোঁজ খবর নিয়ে জুলিয়া জানতে পারেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক গ্রুপ আছে, যেখানে সত্যিই এমন কার্যকলাপ চলে।

jagonews24

সোশ্যাল মিডিয়ার মাই.ক্লাব নামক সাইটে ছবি এবং ভিডিও বিক্রি করতে শুরু করেন জুলিয়া। খুব দ্রুতই প্রচুর সংখ্যক ভক্ত তৈরি হয়ে যায় তার। অনেক সময় ভোক্তাদের কাছ থেকে কাস্টমাইজড কন্টেন্টের অর্ডার আসে। যেখানে পোশাক, বাবলের আকার এবং ক্যামেরার দৃষ্টিকোণ থাকে আলাদা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তবে বাবল ফুলিয়ে বিশাল টাকা রোজগার করলেও এটিই জুলিয়ার প্রাথমিক পেশা নয়। তিনি পেশায় একজন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ। স্থাপত্য এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি রয়েছে তার ঝুলিতে। তবে আজব এই কাজ তিনি দারুণ উপভোগ করেন বলেও জানান।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

সূত্র: টাইমস নাও, মিরর

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।