সন্ধ্যার পর জেগে ওঠে বুকিত
বুকিত বিন তাং। কুয়ালালামপুরের ভেতরের এক উপশহর। অন্যসব উপশহর থেকে আলাদা। সন্ধ্যার পর যখন পুরো রাজধানী ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়ে তখন জেগে উঠে বুকিত বিন তাং। রাতের গভীরতা সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে পর্যটকদের ভিড়।
ইউরোপ, আরেমিকা, চীন-জাপানসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকতো বটেই বাংলাদেশ-ভারতের ভ্রমণপিপাসুরাও উপভোগ করেন এ শহর। মালয়েশিয়া মুসলিম দেশ হলেও এ শহরের সংস্কৃতি ভিন্ন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করে এমন সব উপভোগ্য আয়োজনই রয়েছে এখানে। বিকেল থেকেই শুরু হয় ম্যাসাজ পার্লার। সন্ধ্যায় খোলে ডিসকো বার।
ছোট কয়েকটি টিলার উপর গড়া শহরটি আলোকসজ্জায় সজ্জিত। শনিবার রাতে বুকিত বিন তাংয়ে গিয়ে দেখা গেলো সরগরম অবস্থা শহরটির। রাস্তার দু’পাশের ডিসকো বারগুলোতে উচ্চ আওয়াজে মিউজিকে যেনো দুলছে শহরটি। আলো-আঁধারীতে হাজারো যুবক-যুবতীর মিলন মেলা। সেখানেই তাদের পরিচয়। এ পরিচয় থেকেই বন্ধুত্ব। যেনো একে অপরের সঙ্গী।
এরপর ডিসকোতে গলা ছেড়ে গান। লাল-নীল আলোর ঝলকানিতে নিজস্ব ভঙ্গিমায় নাচ। মাঝে মধ্যে গলা ভিজিয়ে নেন তারা। কেউ কেউ আবার নাচের তালে একে অপরের মাঝে হারিয়ে খোঁজেন মনের খোরাক। ভোরের আগেই খনিকের বন্ধত্ব ভুলে তারা ফিরে যান নিজ গন্তব্যে।
প্রায় প্রতিটি ডিসকো বারেই রয়েছে বাংলাদেশি কর্মী। তাদের একজন শফিকুল হাসান। তিনি জানালেন, বুকিত বিন তাং পর্যটকদের অন্যতম স্পট। মূলত ডিসকো, ম্যাসার পার্লার আর বাহারি খাবারের রেস্টুরেন্টের জন্য এলাকাটি বিখ্যাত। প্রায় সব দেশের খাবারের মেনু রয়েছে রেস্টুরেন্টগুলোতে। আর তাই বিদেশি পর্যটকদের কাছে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে পছন্দের স্থান এটি।
এসএইচএস/এমএস