এক বছরের শিশুর শরীরজুড়ে ট্যাটু

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ১৭ মে ২০২২

বয়স মাত্র এক বছর। এরই মধ্যে স্টাইলের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শরীরজুড়ে ট্যাটু আর গয়নায় অন্যরকম সাজ তার। ট্রেলিন নামের এই শিশুটির বাস ফ্লোরিডায়।

৬ মাস বয়স থেকেই ট্রেলিনের শরীরে ট্যাটু আঁকতে শুরু করেন তার ফ্যাশন ডিজাইনার মা। ছেলেকে ছোট থেকেই স্টাইল আইকন তৈরি করতে চেয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সী শ্যামেকিয়া মরিস। তিনি পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। নিজের শরীরে ট্যাটু করতে গিয়েছিলেন। তখন তার ছোট্ট ছেলের শরীরেও কয়েকটি ট্যাটু করান। তবে তা ছিল নকল ট্যাটু।

jagonews24

ট্রেলিনের শরীরে ট্যাটু করার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতেন মরিস। অনেকেই অবাক হয়েছেন তার এই কাণ্ড দেখে। সমালোচনা করতেও ছাড়েন নি অনেকে। কমবেশি সবাই জানেন ট্যাটু করা এতটাও সহজ নয়। বেশ যন্ত্রণাদায়ক কাজ। তাই ছোট্ট শিশুটিকে কষ্ট দিচ্ছে ভেবে মরিসকে অনেকে পাগলও বলেছেন। তাকে একজন খারাপ মা বলতেও ছাড়েননি অনেকে।

অনেকে বলছেন, বাচ্চাটিকে ঠকবাজের মতো দেখতে লাগছে। আর সে জন্য তার মা দায়ি। যদিও ট্রেলিন এখন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুপারহিট।

jagonews24

ট্রেলিনের মা অবশ্য এক শো-তে এসে জানিয়েছেন, তার ছেলেকে যেন কেউ বিচার না করে। কারণ বিচার করার জন্য সে এখনো অনেক ছোট। তাকে যেন সবাই ভালবাসে!

ট্রেলিনের মা জানিয়েছেন, ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও বা কোনো ছবি দেখে কাউকে বিচার করা যায় না। তার বাচ্চাকে তিনি নিজের মতো করে সাজান। এতে কারো কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।

jagonews24

মূলত পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ায় বেশ ফ্যাশন সচেতন মরিস। অন্যদের থেকে আলাদা কিছু করার চিন্তা তার সব সময়। অন্যদিকে ছেলেকে অন্যদের থেকে কিছুটা আলাদাভাবে বড় করতে চেয়েছিলেন। র্যাপ ও হিপ হপ গান শুনতেও ভালোবাসেন তিনি। তাই তো ছেলে ট্রেলিনকে সেভাবেই সাজিয়েছেন তিনি।

ট্রেলিনের শরীরজুড়ে যত ট্যাটু রয়েছে তা সবই নকল। হাজার সমালোচনা হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনই তিন লাখ ফলোয়ার্স ট্রেলিনের। মায়ের সঙ্গে বাইরে বেরোলে তাকে দেখতে ভিড় হয়ে যায়। ট্রেলিন সবাইকে হাসিমুখে নিজের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ দেয়।

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, ডেইলি মেইল

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।