ওয়েন্ট ইন্ডিজকে বিধ্বস্ত করলো যুবারা
চট্টগ্রামে গিয়েও বাংলাদেশের যুবাদের কাছে বিধ্বস্ত হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঢাকায় প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের পর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচেও তারা বিধ্বস্ত হলো ১৭১ রানের বড় ব্যবধানে।
এই জয়ের পর তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজের পারফরম্যান্স বাংলাদেশের যুবাদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা আরও অনেক বাড়িয়ে দেবে, সন্দেহ নেই। সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শনিবার, একই ভেন্যুতে।
ঢাকায় মেহেদী হাসান মিরাজদের সামনে পাত্তাই পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুবরা। চট্টগ্রামে গিয়েও একই চেহারা সফরকারীদের। বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের করা ২৯৯ রানের বিশাল স্কোরের জবাব দিতে নেমে ১২৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদে চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার সাইফ হাসানের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে পিনাক ঘোষ আর জয়রাজ শেখের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
জয়রাজ শেখ ২১ রানে আউট হয়ে গেলেও নাজমুল হোসাইন শান্তকে নিয়ে বড় রানের জুটি গড়ে তোলেন পিনাক ঘোষ। এ দু’জনের ব্যাট থেকে আসে ১৭৯ রান। এর মধ্যে সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলে পিনাক ঘোষ। ১৩৫ বলে ১০৯ রান করে আউট হন তিনি। ৯টি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস।
নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৯৮ বলে ৭৯ রান। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। সফরকারীদের পক্ষে আলজারি জোসেপ নেন ২ উইকেট। এছাড়া ম্যাককয় এবং কিমো পল নেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশী বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে কিমো পলের ব্যাট থেকে। ২৩ রান করেন গিডরন পোপ। বাংলাদেশের মেহেদী হাসান রানা এবং সালেহ আহমেদ শাওন নেন ৩টি করে উইকেট। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নেন ২ উইকেট এবং সাঈদ শিকদার ও আরিফুল ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট।
আইএইচএস/আরআইপি