বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২২

মো. আশিকুর রহমান সৈকত

‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘বাংলাদেশ’ দুটি নাম, একটি ইতিহাস। এক এবং অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন এক চরিত্র, যাকে বাদ দিলে বাংলাদেশ মানচিত্রে কল্পনা করা অসম্ভব। বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, বিশ্ববন্ধু (ফ্রেন্ড অব দ্যা ওয়ার্ল্ড) ইত্যাদি বিশেষণ বিশ্লেষণ করলেই প্রতীয়মান হয়, তিনি বাংলাদেশের জন্য কী করেছেন।

স্বনামধন্য লেখক আহমদ ছফা শেখ মুজিবুর রহমান নামক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং শেখ মুজিবুর রহমান এ দুটো জমজ শব্দ, একটা আরেকটার পরিপূরক এবং দুটো মিলে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের উজ্জ্বল-প্রোজ্জ্বল এক অচিন্তিত পূর্ব কালান্তরের সূচনা করেছে।’

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বগুণ ও জনগণের প্রতি তার ভালোবাসা পৃথিবীবাসী দেখে বিস্মিত হয়েছে। ‘নিউজউইক’ ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধুকে বলেছিল, ‘পোয়েট অব পলিটিকস’। ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’ লিখেছে, ‘বঙ্গবন্ধু না থাকলে কখনোই বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।’ ‘টাইম’ ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে প্রচ্ছদ করেছিল। এতে লেখা ছিল, ‘বাংলাদেশ: ফ্রম জেল টু পাওয়ার’। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ শেখ মুজিবকে ‘বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে তুলে ধরেছিল।

বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭২ সালে সব প্রটোকল ভঙ্গ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্থ হিথ বঙ্গবন্ধুর গাড়ির দরজা খুলে দেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এমন বিস্ময়কর আচরণে অনেকে সমালোচনা করলেও তিনি এতে কান দেননি। কিউবার কিংবদন্তি নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এ মানুষটি হিমালয়ের সমান। তাই আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করেছি।’

শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন হিমালয়ের চেয়েও বৃহৎ হৃদয়ের অধিকারী। বঙ্গবন্ধু সর্বত্র, সারা দেশের প্রত্যেক মানুষের বুকে খচিত এক নাম। বাঙালি জাতির আবহমানকালের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে জন্ম নেওয়া এক মহামানব শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি তার বাঙালিত্ব, অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতাবাদ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্য তরুণ- যুবসমাজের মননে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের বাইগার নদী তীরবর্তী ছায়াঢাকা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টুঙ্গিপাড়া নামক নিভৃত পল্লীতে জন্ম হয় জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের।

শেখ হাসিনার ভাষায়, ‘বাইগার নদীর তীর ঘেঁষে ছবির মতো সাজানো সুন্দর একটা গ্রাম। সে গ্রামটির নাম টুঙ্গিপাড়া। বাইগার নদী এঁকে বেঁকে গিয়ে মিশেছে মধুমতি নদীতে। এই মধুমতি নদীর অসংখ্য শাখা নদীর একটা হলো বাইগার নদী। নদীর দু’পাশে তাল তমাল, হিজল গাছের সবুজ সমারোহ।’

টুঙ্গিপাড়ার শ্যামল পরিবেশে শেখ মুজিবের জীবন কাটে দুরন্তপনায়। মধুমতির ঘোলাজলে গাঁয়ের ছেলেদের সঙ্গে সাঁতার কাটা, দৌড়-ঝাঁপ, দল বেঁধে হা-ডু-ডু, ফুটবল, ভলিবল খেলায় তিনি ছিলেন দস্যি বালকদের নেতা।

তবে ছাত্রনেতা হিসেবে শেখ মুজিবের জীবনের সূচনা হয়েছিল গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে পড়াকালীন, ১৯৩৯ সালে। ওই বছরই বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন তদানীন্তন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং খাদ্যমন্ত্রী ও পরবর্তীকালে বাংলা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

সেদিন স্কুল পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী মহোদয় ডাক বাংলার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন, এমন সময় শেখ মুজিবের নেতৃত্বে একদল ছাত্র এসে হঠাৎ তাদের পথ আগলে দাঁড়ালো। ছাত্রদের এমন কান্ড দেখে রীতিমতো ভড়কে গিয়ে প্রধান শিক্ষক চিৎকার দিয়ে বললেন, ‘এই তোমরা কী করছ, রাস্তা ছেড়ে দাও।’

ছাত্ররা প্রধান শিক্ষকের কথায় কর্ণপাত না করে হ্যাংলা পাতলা লম্বা ছিপছিপে মাথায় ঘনকালো চুল, ব্যাক ব্রাশ করা একটি ছেলে গিয়ে দাঁড়াল একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে। মন্ত্রী মহোদয় জিজ্ঞেস করলেন, কী চাও? বুকে সাহস নিয়ে নির্ভয়ে সে উত্তর দিল, ‘আমরা গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশনারি হাইস্কুলেরই ছাত্র। স্কুলের ছাদে ফাটল ধরেছে, সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখান থেকে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে পড়ে আমাদের বই-খাতা ভিজে যায়। ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার এ ব্যাপারে বলা হলেও কোনো ফল হয়নি। ছাদ সংস্কারের আর্থিক সাহায্য না দিলে রাস্তা ছাড়া হবে না।’

কিশোর ছাত্রের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সৎ সাহস আর স্পষ্টবাদিতায় মুগ্ধ হয়ে হক সাহেব জানতে চাইলেন, ছাদ সংস্কার করতে তোমাদের কত টাকা প্রয়োজন? সাহসী কণ্ঠে সে জানাল, ‘বারোশ টাকা।’ মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘ঠিক আছে, তোমরা যাও, তোমাদের ছাদ সংস্কারের ব্যবস্থা আমি করছি।’ মুখ্যমন্ত্রী তার তহবিল থেকে ওই অর্থ মঞ্জুর করে অবিলম্বে ছাদ সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিলেন।

এমনি এক দাবি আদায়ের মধ্য দিয়ে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এই ছাত্রনেতার জীবনযাত্রা শুরু। তার প্রতিভা আর নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে এই স্কুলে থাকাকালেই। তার চরিত্রের দৃঢ়তা সবাইকে মুগ্ধ করে। সবার প্রিয় পাত্রে পরিণত হন তিনি। তার পরিচিতি বাড়তে থাকে ‘মুজিব’ ভাই হিসেবে।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর বক্তব্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করা ছিল সুচিন্তিত ও সমাজ সেবামূলক। স্কুলের ছাত্রত্বকালীন তিনি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। মুষ্টি ভিক্ষার চাল উঠিয়ে গরিব ছেলেদের বই ও পরীক্ষার খরচ বহন করা, বস্ত্রহীন পথচারী শিশুকে নিজের নতুন জামা পরিয়ে দিতেও তিনি কার্পণ্য করতেন না। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের দায়িত্ব নেওয়ার মতো মহৎ গুণ শক্তভাবেই ধারণ করেছিলেন সেই শৈশবেই।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্রলীগ গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গণে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, আটান্নর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।

শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাবরণ করেন তিনি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের এক বিশাল জনসভায় ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমদ তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন।

শেখ মুজিব এমন এক ব্যক্তি যাকে ভয় ছুঁতে পারে না। যদি আপনি এক শব্দে শেখ মুজিবকে প্রকাশ করতে চান তাহলে আপনাকে বেছে নিতে হবে সাহসী শব্দটা। ৫৪ বছরের জীবনে এই অকুতোভয় মহান নেতা ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন, যা তার মোট জীবনের এক-চতুর্থাংশ। একটি মানুষ সংগঠনের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করতে পারে সেটা ভাবাই যায় না।

একদিনের কথা বলি। বঙ্গবন্ধু কারাগারে। গোপালগঞ্জের আদালতে তাকে আনা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া থেকে বেগম মুজিব, বঙ্গবন্ধুর পিতা প্রমুখ গেছেন গোপালগঞ্জে, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। শেখ হাসিনা তখন ছোট, শেখ কামাল কেবল কথা বলতে শিখেছেন। শেখ হাসিনার নিজের ভাষায়, ‘কামাল তখন অল্প অল্প কথা বলতে শিখেছে। কিন্তু আব্বাকে কখনো দেখে নাই। চেনেও না। আমি যখন বারবার আব্বার কাছে ছুটে যাচ্ছি, আব্বা আব্বা বলে ডাকছি, ও শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে। গোপালগঞ্জ থানায় একটা বড় পুকুর আছে, যার পাশে বড় খেলার মাঠ। ওই মাঠে আমরা দুই ভাইবোন খেলা করতাম। ফড়িং ধরার জন্য ছুটে বেড়াতাম। আর মাঝে মাঝেই আব্বার কাছে ছুটে আসতাম। অনেক ফুল পাতা কুড়িয়ে এনে কামালকে নিয়ে খেলতে বসেছি। ও হঠাত আমায় জিজ্ঞেস করল, হাসু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলে ডাকি।’

কী জীবন বেছে নিয়েছিলেন আমাদের জাতির পিতা! স্ত্রী-কন্যা-পুত্র অদর্শনে থেকে যায় দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, বাঙালি জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। এদিন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার আহ্বান জানান। এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। সেদিন পাকিস্তানি জান্তা শাসকসহ শোষকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষকে আর দাবায়া রাখতে পারবা না।’ এই এক বাক্য সারা বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে দিয়েছে। সত্যিই অসাধ্য সাধন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

১৯৬৪ সালের ১২ জুলাই পল্টন ময়দানে পাকিস্তানি মন্ত্রীর উদ্দেশে এক জনসভায় বলেছিলেন, ‘মন্ত্রীসাহেব! বাংলার ইতিহাস আপনি জানেন না। এই বাংলা মীরজাফরের বাংলা। আবার এই বাংলাই তিতুমীরের বাংলা, এই বাংলা হাজী শরিয়তুল্লাহর বাংলা। এই বাংলা সুভাষ-নজরুল-ফজলুল হক-সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ইসলামাবাদীর বাংলা। এই বাংলা যদি একবার রুখে দাঁড়ায়; তবে আপনাদের সিপাই-বন্দুক, কামান, গোলা সবই স্রোতের শ্যাওলার মতো কোথায় ভেসে যাবে হদিসও পাবেন না।’

দীর্ঘ ৫৮ বছর পর বঙ্গবন্ধুর কথা পুরোপুরি দৃশ্যমান। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে প্রায় সবক্ষেত্রেই এগিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ১২৮৭.৮ ইউএস ডলার আর পাকিস্তানের ১১৮৫.৫ ইউএস ডলার। বাংলাদেশের গ্রস সেভিংস জিডিপি ৩৩.৩% আর পাকিস্তানের ১৯.৩%। শিক্ষায় বাংলাদেশের নারীরা বেশ এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের ২৫ বছরের বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই মাধ্যমিক পাস।

অন্যদিকে পাকিস্তানে এই হার ২৭ শতাংশ। বাংলাদেশের শিক্ষার ৭৩.৯% আর পাকিস্তানের শিক্ষার হার ৫৯.১৩%। পাকিস্তানে যেখানে প্রতি ১০০০ জনে ৫৭.২ জন শিশু মারা যায়, সেখানে বাংলাদেশ এই শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছে ২২.১ জনে। ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রেটিং যেখানে ৪.১, খুব খারাপ অবস্থায় থাকা পাকিস্তানের রেটিং ৯.৭। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৬ বছর, পাকিস্তানে ৬৭.৩ বছর।

স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতের সুফল মিলছে গড় আয়ুতে। বাংলাদেশ ৮৫.২% বেশি সংখ্যক মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসলেও পাকিস্তানে মাত্র ৭১.১%। শ্রমবাজারে অংশগ্রহণে বাংলাদেশের নারীরা ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন। আমাদের শ্রমশক্তিতে ৩৬ শতাংশই নারী, পাকিস্তানের মাত্র ২২ শতাংশ। বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা যেখানে ৮, সেখানে তা পাকিস্তানে ৬।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের মনোজগতে বঙ্গবন্ধু এক অবিনশ্বর সত্তা। তারুণ্যের শক্তিই বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারে।

অমিত সম্ভাবনা আর প্রাণশক্তিতে ভরপুর তারুণ্যদীপ্ত যুবসমাজকে চর্তুথ শিল্পবিপ্লবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, জলবায়ু পরিবরতন, টেকসই উন্নয়নসহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও খাদ্য উৎপাদনের সাফল্যে বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ঠিক এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়-
‘চাহি না জানিতে- বাঁচিবে অথবা
মরিবে তুমি এ পথে,
এ পতাকা বয়ে চলিতে হইবে
বিপুল ভবিষ্যতে।’

লেখক: শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।