জাবির দুই শিক্ষককে অব্যাহতি


প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) বিভাগের দুই শিক্ষকে অব্যহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার সন্ধ্যায় উপাচর্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অব্যাহতি পাওয়া দুই শিক্ষক হলেন, প্রভাষক মো. রুহুল আমিন খন্দকার এবং সহকারী অধ্যাপক ড. মুফতি মাহমুদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য প্রভাষক মো. রুহুল আমিন খন্দকারকে এবং সহকারী অধ্যাপক ড. মুফতি মাহমুদকে ছুটি ছাড়াই দেশের বাইরে অবস্থান করার দায়ে অব্যহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার জন্য সহকারী অধ্যাপক ড. মুফতি মাহমুদকে একাধিকবার নোটিশ দেয়া স্বত্ত্বেও যোগদান না করায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।

জানা যায়, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট প্রভাষক মো. রুহুল আমিন খন্দকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ফলে সবাই মরে, শেখ হাসিনা মরে না কেন? এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০১১ সালে ২ অক্টোবর সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও হত্যার হুমকির অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
 
পরে ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট মো. রুহুল আমিন খন্দকারকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে অতিরিক্ত ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। সর্বশেষ সোমবারের সিন্ডিকেটের সভায় মো. রুহুল আমিন খন্দকারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি অষ্ট্রেলিয়াতে অবস্থান করছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুফতি মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে বাইরে যান। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার তিন বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকবার নোটিশ দেয়া সত্ত্বেও কর্মস্থলে যোগদান না করায় তাকেও অব্যহতি দেয় সিন্ডিকেট।

হাফিজুর রহমান/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।