কমলা যে কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ দিবসের রং

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২১

পত্রিকার পাতা কিংবা টেলিভিশন খুললেই এখন নারী নির্যাতনের খবরে সয়লাব। অনলাইন মাধ্যমগুলোতেও ঘুরে ফিরে বেড়ায় পরিবার, সমাজ কিংবা রাস্তাঘাটে নারীদের নির্যাতনের ঘটনাগুলো। দেখতে দেখতে অনেকের চোখও সয়ে গেছে এতোদিনে। কোনো কোনো নারী মুখ বুজে সহ্য করছেন, কেউ আবার রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে সুরাহা হচ্ছে না বেশিরভাগ সময়ই।

দিন দিন বাড়ছে নারীর প্রতি নির্যাতনের মাত্রা। পরিবার, সমাজ কোথাও রেহাই পাচ্ছেন না তারা। নারী নির্যাতন বলতে নারীদের ওপর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যে কোনো ধরনের নিপীড়ন ও নির্যাতনকে বোঝায়।

আজ ২৫ নভেম্বর সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য এলিমিনেশন অব ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন’ বা আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি’।

তবে জানেন কি এই দিবসের একটি রং রয়েছে। নারী দিবসের রং যেমন বেগুনি ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের রং হচ্ছে কমলা। এই রং এই দিবসের সঙ্গে মিশে গেল কীভাবে জানেন কি?

জাতিসংঘের মহাসচিব কমলা রঙটিকে এই দিবসের জন্য মনোনীত করেন। কমলা একটি উজ্জ্বল এবং আশাবাদী রং। যা নারীদের প্রতি সহিংসতা থেকে মুক্ত ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্ব করে বলে করা হয়। দিবসটিকে মর্যাদা দিতে এই দিনে কমলা পোশাক পরেন বিশ্বের সব দেশের মানুষই।

এই দিবস পালনের পেছনে রয়েছে এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা। ১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লাতিন আমেরিকার দেশ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত আন্দোলন করার জন্য প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাবেল নামের তিন বোনকে হত্যা করা হলে তাদের স্মরণে ১৯৮১ সাল থেকে এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদ্যাপন কমিটি ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস ও পক্ষ পালন করছে।

এই দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপনে নানা কর্মসূচি নেয়। এ বছরও এই উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নারী নির্যাতন বন্ধ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

সূত্র: ইউএন ওমেন

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।