আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি
মানবতাবিরোধী সালাউদ্দিন কাদের(সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই খবরটি ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচার করে।
প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স শিরোনাম করেছে- ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে বাংলাদেশে দুই বিরোধী নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বাংলাদেশ হ্যাংস অপজিশন লিডারস ফর ওয়ার ক্রাইমস- এমন শিরোনাম করেছে ফরাসি গণমাধ্যম এএফপি। এতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, সাকা ও মুজাহিদকে শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার বিষয়টিও এতে উল্লেখ করা হয়। ফাঁসি কার্যকরের সময় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার চিত্রও এতে উঠে আসে।
বিবিসি খবরটির শিরোনাম করেছে- বাংলাদেশ এক্সিকিউটস অপজিশন চিফ্স। এতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দুই বিরোধী নেতার ফাঁসি দিয়েছে বাংলাদেশ।
মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা খবরটির শিরোনাম করেছে- বাংলাদেশ দুই বিরোধী নেতার ফাঁসি কার্যকর করেছে। খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর বাংলাদেশের দুই শীর্ষ বিরোধী নেতার ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
বিবিসি বাংলার শিরোনাম ছিল- সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর। বলা হয়, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাকা চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর শীর্ষ সংবাদেও এই বহুল আলোচিত ফাঁসির খবরটি প্রকাশ করা হয়। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া এই সংবাদ প্রচার করে। অন্যদিকে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের শিরোনামে ছিল জামায়াত নেতার ফাঁসির বিস্তারিত খবর।
জেডএইচ/এমএস