চাঁদপুরের আর্সেনিকোসিস রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না
চাঁদপুর জেলায় ৮ সহস্রাধিক আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগীরা আজও কোনো চিকিৎসা সেবা পাননি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুধু রোগীদের চিহ্নিত করেই তাদের কার্যক্রম শেষ করেছে।
এদিকে আর্সেনিকমুক্ত বিভিন্ন সংস্থার স্থাপনকৃত পাইলট প্রকল্পগুলো এখন ভেস্তে গেছে। যার ফলে সাধারণ লোকজন বিষ মনে করেও আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েল থেকে অবাধে পানি পান করছেন। এ অবস্থায় যে কোনো মুহূর্তে আর্সেনিকোসিস রোগের ভয়াবহতা দেখা দিতে পারে।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় কতৃপক্ষ জাগো নিউজকে জানায়, চাঁদপুর জেলায় আট হাজার চারশ ৯ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন হাজার ৫শ’ ৪৯ জন পুরুষ ও চার হাজার ৮শ ৬০ জন নারী রয়েছেন।
ওয়ারী, কচুয়া উপজেলায় ৪৫০ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৯৮ জন ও নারী ২৫২জন। শাহরাস্তিতে উপজেলায় পাঁচ হাজার ১৪৩ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ১১১ ও নারী ৩ হাজার ৩২ জন। হাজীগঞ্জ উপজেলায় এক হাজার ১৫৫ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে পুরুষ ৪১৬ ও নারী ৭৩৯ জন। মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৫৩১ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে পুরুষ ২৬৮ ও নারী ২৬৩ জন।
মতলব উত্তর উপজেলায় ৪৫০ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে পুরুষ ২৩১ ও নারী ২১৯ জন। চাঁদপুর সদরে উপজেলায় ৪৮৪ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে পুরুষ ২৩০ জন ও নারী ২৫৪ জন। হাইমচরে উপজেলায় ৬৪ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ জন ও নারী ৩৩ জন। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৩৩৮ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে পুরুষ ১৩৫ জন ও নারী ২০৩ জন।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন রথিন্দ্রনাথ মজুমদার জাগো নিউজকে জানান, এখন আর আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, আমাদের বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহে অনেক গভীরতায় ডিপ টিউবওয়েল কলগুলো বসানো হচ্ছে। সেখানে আর্সেনিক নেই। এছাড়া যারা ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের চিকিৎসায় বিভিন্ন এনজিও কাজ করছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
ইকরাম চৌধুরী/এমজেড/এমএস