বীরগঞ্জে মনোনয়ন পেতে সব প্রার্থীই আশাবাদী


প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

বীরগঞ্জ পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ, পোস্টার, লিফলেট ও বিল বোর্ডে ছেয়ে গেছে বীরগঞ্জ পৌরশহর, একাধিক প্রার্থী নিয়ে জামায়াতের কাছ থেকে আসনটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর সব প্রার্থী মনোনয়নের ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী।

তফশীল ঘোষণা না হলেও জামায়াতের কাছ থেকে আসনটি উদ্ধারের চেষ্টায় দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে এবং অলি-গলিতে পোস্টার, লিফলেট, ফেস্টুন লাগিয়ে ভোটারদের আকর্ষণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রার্থীরা। বীরগঞ্জ পৌরসভায় এবারের নির্বাচনে যাদের নাম পাওয়া যাচ্ছে তাদের মধ্যে জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমির, বর্তমান পৌর মেয়র আলহাজ্ব মাওলানা মো. হানিফ। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর মধ্যে গতবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন বাবুল, আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার আলহাজ মো. মোস্তাক হোসেন, আওয়ামী লীগ উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ মো. মোকছেদ আলী মিয়া, ৯০ দশকের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা, বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম ফিরোজ আলম।

বিএনপির হতে যাদের নাম পাওয়া যাচ্ছে তাদের অন্যতম বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক জেলা বিএনপির সদস্য গতবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাবু সুভাস দাস ও উপজেলা যুবদল সভাপতি আসাদুল ইসলাম দুলাল। দলীয় নেতা কর্মীদের সমর্থনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাহিনুর ইসলাম। তবে এ দলের অপর প্রার্থী রশিদুল ইসলাম যেকোনো নির্বাচন এলে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে কার্যক্রম শুরু করেন।

এছাড়াও পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট দেখে ও সরোজমিন তদন্তে জানা যায় উপজেলার গণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক নীল রতন সাহা নিপু, জাগপার নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আরমান আলী ও শাইফুল ইসলাম নির্বাচনের প্রার্থী। ১৩ জন প্রার্থীর প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাদের ভাষ্য মতে দল ও কেন্দ্র যার নাম ঘোষণা করবে তাকেই সমর্থন করে তারা মাঠে কাজ করবেন।

বীরগঞ্জ পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম আলহাজ্ব মাওলানা মো. হানিফ (জামায়াত), মো. মোশারফ হোসেন বাবুল, আলহাজ মো. মোস্তাক হোসেন, আলহাজ মো. মোকছেদ আলী মিয়া, মো. শামীম ফিরোজ আলম (আ.লীগ), বাবু সুভাস দাস, আসাদুল ইসলাম দুলাল (বিএনপি), মো. শাহিনুর ইসলাম, রশিদুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), নীল রতন সাহা নিপু (গণফোরাম), মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু (জাগপা), আরমান আলী (সিপিবি) ও শাইফুল ইসলাম।

হাকিমপুর পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কার্যক্রম চলছে। এখনো পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। তবে দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতিকে পৌরসভা নির্বাচনের সরকারি ঘোষণা হওয়ায় হাকিমপুরের হিলিতে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা তাদের প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। এলাকার সবার মুখে মুখে সর্বত্র চলছে নির্বাচনে কোন দলের প্রার্থী কে হচ্ছেন।

পৌরসভার সর্বত্র শুভেচ্ছা, দোয়া ও আশীর্বাদ চেয়ে ডিজিটাল ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর শহরের অলিগলি ও রাস্তার মোড়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নানামুখী তৎপরতাসহ দলীয় মনোনয়ন লাভের জন্য সার্বক্ষণিক জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। আর প্রার্থীদের এমন তৎপরতার ফলে ভোটারদের মধ্যেও এক ধরনের উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বরের প্রথম ধাপে দেশব্যাপী পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে হাকিমপুর পৌরসভাও রয়েছে। ইতোমধ্যেই সরকার ঘোষণা দিয়েছে এই নির্বাচন দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন এবং দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় নেতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। সেই তালিকায় পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও। কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন, সেটি চূড়ান্ত না হলেও সব প্রার্থীই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের চারজন, বিএনপির তিনজন, জাতীয় পার্টির একজন, জাসদের একজন গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

তবে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তারা দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারবে না, তবে স্বতন্ত্র হিসেবে মেয়র পদে এখনো কাউকে প্রচার প্রচারণায় দেখা বা শোনা যাচ্ছে না। কাউন্সিলর পদে স্বতন্ত্রভাবে দুই-একজনের নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে, গতবারের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.জামিল হোসেন চলন্ত। তিনি বিগত নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই মাঠে রয়েছেন এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। আসন্ন নির্বাচনে এলাকায় তার বেশ জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকার ফলে সাধারণ ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এদিকে আগে থেকে মাঠে না থাকলেও দলীয়ভাবে নির্বাচনে ঘোষণা আসার পর থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের অপর যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর রেজা শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম ডাব্লু, এবং আওয়ামী লীগের কর্মী ও বর্তমান পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সেলিম রেজা।

বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন, বিগত তিনবারের পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী, বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির সদস্য মো.সাখাওয়াৎ হোসেন শিল্পি। বিএনপির একক প্রার্থী ও নিজের এলাকার বেশ কিছু রিজার্ভ ভোট থাকার কারণে বরাবরই ভালো অবস্থানে থাকেন তিনি। তবে এবারের নির্বাচনে নিজ দলের অনেক নেতা কর্মী বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এবং পৌরসভার উন্নয়নমূলক তেমন কাজ না হওয়ায় বিশেষ করে পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়ায় ভোটারদের মাঝে বিরূপ মনোভাব থাকায় গতবারের চেয়ে এবারে অবস্থান কিছুটা নিম্নমুখী।

আগে থেকে নাম শোনা না গেলেও নির্বাচনের কিছুদিন আগে থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করার লক্ষ্যে এলাকায় শুভেচ্ছা ও দোয়া চেয়ে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছেন পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাহিলি হাট ও বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। শোনা যাচ্ছে বিএনপির বেশ কিছু নেতা কর্মী নির্বাচনে তার পেছনে রয়েছেন। এছাড়াও মেয়র প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে পরাজিত ও উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মোছা.পারুল নাহার। তার পেছনেও ছাত্র ও যুবদলের বেশ কিছু নেতা কর্মী রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এদিকে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য একক মেয়র প্রার্থী হিসেবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো.সুরুজ আলী শেখ এবং জাসদ থেকে উপজেলা জাসদের সেক্রেটারি হারুনুর রশীদ হারুন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।

এই পৌরসভায় জামায়াতের প্রার্থী জামায়াত নেতা সুমন খন্দকার। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সাধারণ ভোটারদের মাঝে যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, অবস্থান ভালো এবং পৌর নির্বাচনে জয়ী হয়ে বের হতে পারেন এমন প্রার্থীকেই দলীয়ভাবে নেতা কর্মীদের ভোটে একক প্রার্থী নির্বাচিত করা হবে। সেক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই পৌরসভার পাড়া মহল্লার মোড়ে মোড়ে এবং চায়ের দোকানে প্রার্থীদের নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ চলছে। কে হবেন আগামী পৌর পিতা? কোন দল থেকে কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন এসব বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরাও ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এলাকায় নানা উন্নয়নের কথা শোনাচ্ছেন।

এছাড়াও রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানি নিষ্কাশন ও সরবরাহ, বাল্যবিয়ে এবং মাদকমুক্ত পৌরসভাসহ নানা ধরনের জনকল্যাণমুখী কাজের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। অপরদিকে, পৌরসভার সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেই মূল লড়াই হবে। এছাড়াও কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন তার ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনে জয় পরাজয়।

জেলার বিরামপুরে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণা জমে উঠেছে। পৌর এলাকার প্রধান সড়কে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেঁয়ে যেতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও আলাপ আলোচনা তুমুল বেগে চলছে।

চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীরা নিজ নিজ কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় সমর্থন পেতে দলের শীর্ষ নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকলেও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ একক প্রার্থী নির্ধারণ করে ঠাণ্ডা মেজাজে রয়েছেন। বিরামপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন দলের প্রায় ৫০ জনেরও বেশি সম্ভাব্য সংরক্ষিত নারী ও পুরুষ কমিশনার প্রার্থী মাঠ চষে তাদের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৬ জুন ১৯৯৫ সালে বিরামপুরে পৌরসভা স্থাপিত হলেও এটি দীর্ঘ সময় বিভিন্ন উন্নয়ন ঘটিয়ে ২০০৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়।

সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে পৌর বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আজাদুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ আশরাফ আলী মণ্ডল, থানা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, পৌর বিএনপির অন্যতম সদস্য হুমায়ূন কবির, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সহকারী অধ্যাপক ডক্টর মুহাদ্দিস মো.এনামুল হক, সদ্য প্রয়াত সাবেক মেয়র ও থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী সরকারের ছেলে থানা আওয়ামী লীগের কার্য্যকারী সদস্য আলহাজ লিয়াকত আলী সরকার (টুটুল) ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বিরামপুর পৌর আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক মো. আক্কাস আলী সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন।  
         
বিরামপুর পৌরসভাটির সম্ভাব্য মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীরা ভোটারদের মাঝে শুভেচ্ছা জানাতে প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত বিভিন্ন রঙের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন তৈরি করে প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। সেই সঙ্গে ভোটারদের সামনে সম্ভাব্য প্রাথীরা তাদের নিজ নিজ যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে কিভাবে অত্র পৌরবাসীর সেবা এবং এলাকার উন্নয়ন করা যাবে সে বিষয়ে লিফলেট ছাপিয়ে হাতে হাতে বিলি শুরু করেছেন।

আবার কেউ কেউ পাড়া মহল্লায় যুব সংগঠন, সমিতি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান উপস্থিত হয়ে চাওয়া পাওয়া পূরণ করে সবার মন জয় করার চেষ্টা করছেন। ছোট বড় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সবার সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া আর্শীবাদ কামনা করায় যেন সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা হয়ে দেখা দিয়েছে। সম্ভাব্য মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীদের সামনে এখন একটিই ভাবনা তা হল দলিয় সমর্থন পাওয়া।

থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মণ্ডল জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া আমার পক্ষে এই মুহূর্তে প্রকাশ্যে কোনো কিছু বলার নেই। দলের বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী আলোচনায় এসেছেন। তবে তিনি নিজে কোনো প্রার্থীর তালিকায় নেই বলেও অভিমত প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির থানা সভাপতি আলহাজ আশরাফ আলী মণ্ডল জানান, তিনি নিজেও মেয়র প্রার্থী হিসেবে মত প্রকাশ করেছেন।

জেলা বিএনপির খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোছাদ্দেক হোসেন (তোছা) জানান, বর্তমান মেয়র মো. আজাদুল ইসলাম আজাদ দলীয় প্রার্থী। এছাড়াও দলের বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী প্রচার প্রচারসহ দলীয় সর্মথন আদায়ের প্রতিযোগিতায় রয়েছেন।

২০ দলীয় ঐক্য জোটের শরীক দল জামায়াতে ইসলামীর দলীয় সম্ভাব্য পৌর মেয়র প্রার্থীর বিষয়ে মুঠোফোনে দিনাজপুর জেলা আমীর মো. আনোয়ারুল ইসলামেরকোছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অধ্যাপক ডক্টর মুহাদ্দিস মো. এনামুল হক একক মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছেন। এ বিষয়ে থানা আমীর আমজাদ আলী ও পৌর আমীর হারুন হোসাইন ও একই কথা জনিয়েছেন।

দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী-লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ বক্তব্যে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তই বলে দেবে তাদের দিক নির্দেশনা। দল যাকে সর্মথন জানাবে তিনিই দলের পক্ষে নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। দলিয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা কারও নেই। তবে দুটি দলের সকল সম্ভাব্য প্রার্থীই দলের সর্মথন আদায়ে শতভাব আশাবাদী দলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।   

এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।