রমজানে পানিশূন্যতা রোধে করণীয়


প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ১২ জুলাই ২০১৪

পানি আমাদের শরীরের জন্য অতীব দরকারি উপাদান। সারাদিন একজন ব্যক্তির কমপক্ষে ৭-৮ গ্লাস পানি পানকরা দরকার হয়। তা না হলে তিনি পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হন। যা তার স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়। শরীর-মন দুর্বল হয়ে যায়। রমজানের সময় আমাদের সারাদিনই পানি না পান করে থাকতে হয়। এর শারীরিক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে রমজানের সঙ্গে আধ্যাত্মিক যোগাযোগের কারণে রোজাদাররা মানসিক শক্তিতে বিষয়টি এড়িযে যান। কিন্তু ঠিকই শরীরে এর প্রভাব পড়ে, অস্বস্তি জাগায়।

পর্যাপ্ত পানি পান না করা শুধু পানিশূন্যতা তৈরি করে তা নয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিবিধ সমস্যা হয়। শরীরের পর্যাপ্ত পানি নেই তা বোঝার সহজ উপায় হলো প্রস্রাবের রং। প্রস্রাবের রং যদি গাঢ় হলুদ হয়, তবে বুঝতে হবে আপনার শরীরে পানি নেই। বিশেষ করে রমজানে এটি দেখা যায়।

রমজানে যেভাবে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করবেন
- লবণাক্ত, বেশি মিষ্ট, ভাজা ও মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। এ সবের জন্য শরীরে বেশি পানির দরকার পড়ে।
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। ইফতারে দুই গ্লাস পানি পান করুন। এরপর ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিঘণ্টায় কমপক্ষে ১ গ্লাস করে পানি পান করুন। সেহেরিতে বেশি পানি পান করতে ভুলবেন না।
- যদি ব্যায়াম বা বাইরের গরমে কাজ করেন তবে শরীর প্রচুর পানি হারায়। এ ক্ষেত্রে শরীরে বেশি পানি দরকার হয়।
- খাবার তালিকায় তাজা মাছ ও সবজি রাখুন। এ সব খাবারে প্রচুর পানি আছে। ইফতারের পর সালাদ ও তাজা ফল ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন।
- দোকানের মিষ্টি জুসের চেয়ে ঘরে তৈরি তাজা ফলের রস পান করুন।
- ইফতারে স্যুপ খেতে পারেন। এটা পানিশূন্যতা দূর করার ভাল উৎস।
- ইফতারের দুই ঘণ্টা পর এককাপ কফি খেতে পারেন।
- সেহেরিতে সুষম পুষ্টি বজায় রাখুন।

অনেকের মধ্যে একটি ধারণা আছে- সেহেরিতে বেশি পানি পান করলে সারাদিন আর তৃষ্ণা পাবে না। ধারণাটি কি ঠিক?
এটা ঠিক যে, সেহেরির সময় প্রচুর পনি পান করলে তা আমাদের তৃষ্ণা দূরে সাহায্য করে। পানি ছাড়া অনেকটা সময় টিকে থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এটি সারাদিনের তৃষ্ণা দূর করবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।