কেমন হবে গর্ভবতী মায়ের ওজন
গর্ভকালীন খুব বেশি পরিমাণ ওজন বেড়ে যাওয়া যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি ওজন কমে যাওয়াও গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এ সময় ওজন হতে হবে ঠিক যা হওয়া উচিত তাই। যদি ওজন খুব বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় তবে গর্ভজনিত ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। আবার ওজন যদি কমে যায় তবে নবজাতকের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন নিয়ে জন্মলাভের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তাই আপনাকে স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখতে হবে।
গর্ভধারণের আগে আপনি যদি স্বাভাবিক ওজনের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে গর্ভকালীন আপনার ওজন বৃদ্ধির গ্রহণযোগ্য সীমা হলো ২৫ থেকে ৩৫ পাউন্ড। গর্ভধারণের আগে আপনি যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজনের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন বৃদ্ধির গ্রহণযোগ্য সীমা হলো ১৫ থেকে ২৫ পাউন্ড। গর্ভধারণের আগে আপনি যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন বৃদ্ধির গ্রহণযোগ্য সীমা হলো ২৮ থেকে ৪০ পাউন্ড।
একের অধিক শিশুর ভ্রূণ ধারণের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির মাত্রার বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন (সাধারণত যমজ শিশুর ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৩৫ থেকে ৪৫ পাউন্ড)। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে গড়ে একজন গর্ভবতী মায়ের ওজন প্রায় ২ থেকে ৪ পাউন্ড বেড়ে যায় এবং পরবর্তী অবশিষ্ট সময়ে প্রতি সপ্তাহে ওজন প্রায় ১ পাউন্ড করে বাড়ে।
এইচএন/এমএস