১৫ আগস্ট : জাতি হারালো তার পিতা

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২০

অরিত্র দাস

সমগ্র দেশকে যদি একটি কুমারটুলির ন্যায় কল্পনা করা হয়, তবে সেই কুমারটুলিতে একজন পটু শিল্পী আছেন। যার নিঁখুত দক্ষতা এবং লাল-সবুজ রং তুলির আঁচড়ে ভেসে উঠেছে বাংলাদেশের প্রতিমূর্তি। পেয়েছে শিল্পের স্বাধীনতা। বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছে এর স্বকীয়তা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেই বঙ্গ কুমারটুলির একজন কুশলী কারিগর।

মুজিব অর্থ উত্তরদাতা। যা আরবি ভাষার শব্দ থেকে উৎপত্তি। নানা শেখ আব্দুল মজিদ ভালোবেসে নাম রাখেন মুজিব। ছোটবেলায় বাবার গলা ধরে না ঘুমালে তাঁর রাতে ঘুম আসত না। বাবা-মা তাই আদর করে ডাকতেন খোকা। খোকা মাছ-মাংসের চেয়ে নিরামিষ খেতেই অধিক ভালোবাসতেন। শৈশবকালে মা-বাবার আদরের খোকা পরবর্তীকালে ছাত্র ও যুবকের কাছে ভাইজান এবং গ্রামবাসীর কাছে মিয়া ভাই নামে পরিচিতি পেয়ে যান। ড. নীলিমা ইব্রাহিমের প্রস্তাবনায় ১৯৯৬ সাল থেকে ১৭ মার্চ খোকার জন্মদিনকে বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হয়। কে জানত, সেই খোকাই বড় হয়ে হবেন বাংলাদেশের জন্মদাতা পিতা?

হয়তো পরিণত বয়সে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন তাঁর জীবনসঙ্গীনী শেখ ফজিলাতুন্নেছা রেণু। শান্ত ধীর স্থির বিচক্ষণ মহিয়সী এই নারী। ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্রের সময় অনেকেই যখন বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির জন্য আইয়ুব খানের গোলটেবিল বৈঠকে যোগদানের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখন এই মহিয়সী নারী প্রচণ্ডরকম বিরোধিতা করে বলেছিলেন, ‘তুমি প্যারোলে কক্ষণো যাবে না, গেলে বাঙালিদের সাথে বেঈমানী করা হবে।’ বঙ্গবন্ধু স্ত্রীর কথা রাখলেন। তারও কয়েক বছর আগের কথা, ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধু আমরণ অনশন করেছিলেন যখন, তখন বঙ্গমাতা রেনু কণ্ঠে গাম্ভীর্য এনে বলেছিলেন, জেলে থাকো আমার কোন অসুবিধা নেই, তবে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রেখ। একদিকে মমতাময়ী নারী, অন্যদিকে আপসহীন একজন জাতির পিতার অসামান্য স্ত্রী।

জালিম পাকিস্তানের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু একটাই অপরাধ করেছিলেন, তা হলো- এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। শোষণ ও নিদারুণ বৈষম্যের মুক্তি। ধর্মের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর, বাঙালি সত্তাধিকারের দাবি তোলায় কারাগার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা। প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে উপযুক্ত উত্তর দিতে গিয়ে মুজিব তাঁর ক্ষণস্থায়ী জীবনের প্রায় ১৩টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। সময়ের হিসাবে তা চার হাজারের অধিক দিন। স্কুলছাত্র থাকাবস্থায় ১৯৩৮ সালে সর্বপ্রথম কারাগারে যান বঙ্গবন্ধু। অতঃপর কারাগারের শিকলে বারবার বন্দি হওয়ার জ্বালা থেকে চিরস্থায়ী মুক্তি মেলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর। সাফল্যের পথ মসৃণ নয়, জীবন আঘাতের বিনিময় ছাড়া কিছু দিতে চায় না। ফলে একটি সুদীর্ঘ সময় স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা রেণুকে একহাতে ঘর সংসার পার্টি সামলাতে হয়েছে। কারণ গোপালগঞ্জ ছেড়ে বেগম মুজিব ছেলে-মেয়ে নিয়ে ষাটের দশকে সেই সময়ের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে অসমাপ্ত ও নির্মাণাধীন ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে এসে ওঠেন।

আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে ১৯৫৬ সালে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলে, বঙ্গবন্ধু সেখানে বাণিজ্য, শ্রম, শিল্প ও দুর্নীতি দমন মন্ত্রী হন। ঢাকা শহরে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। বঙ্গবন্ধুর পিএস নুরুজ্জামানের মাধ্যমে পিডব্লিউডি’র কাছে একটি প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন করলে প্লটের একটি ব্যবস্থা হয়। বঙ্গমাতার নামে বরাদ্দকৃত প্লটের টাকা নগদ এবং কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়। গরিবের কাছে লাখ টাকার হাতি পালার মত ব্যয়সাধ্য হলেও স্থায়ী বসবাসের জন্য বেগম মুজিবের নামে বরাদ্দকৃত জায়গাতে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। পাশে এসে দাঁড়ান তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা রংপুরের মতিউর রহমান। তিনি বাড়ির জানালা গ্রিল সরবারহ করেন। এছাড়া বাড়ি নির্মাণকালীন কেয়ারটেকার ছিলেন টুঙ্গিপাড়ার আরজ আলী। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবার পরিজন নিয়ে এই আধা সম্পূর্ণ বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। ১৯৬২ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার অসহযোগ আন্দোলনসহ নানা চড়াই-উৎরাইয়ের সাক্ষী ধানমন্ডি লেকের পাড়ে এই বাড়ি।

উত্তাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন সময়ে ৩২ নম্বর রোডস্থ বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়ে জনতার মিছিল সর্বদা স্লোগান তুলত, ‘জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো।’ তারা ঠিকই মুজিবকে বারবার কারাগার থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। ফলে প্রতীয়মান হয়, স্বাধীনতা আন্দোলনের ছক প্রণয়ন, পরামর্শ, মিছিল-মিটিং, দলের যাবতীয় কার্যক্রম ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, সাধারণ মানুষের দুঃখ, কষ্ট, ক্ষোভের কথা শোনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলো এ বাড়ি। ১৯৬৪ সালের আগস্ট মাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা এ অসম্পূর্ণ বাড়িটি পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মাণ করার জন্য গৃহনির্মাণ সংস্থার কাছ থেকে ৩২ হাজার টাকা ঋণ নেন। শেখ মুজিব নিজেই এ ঋণের গ্যারান্টার ছিলেন। যদিও পরবর্তীতে ঋণের টাকা সব শোধ করা হয়নি। এরই মধ্যে মানব সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে গভীরতম ঘৃণ্য এবং কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনা হয়ে যায়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে কতিপয় বিকৃত বেপরোয়া স্বার্থোদ্ধত বাঙালি সেনা সদস্য। যে লোকটির (বঙ্গবন্ধু) অঙ্গুলি হেলনে সাত কোটি বাঙালি শ্রদ্ধাভরে দেবতা জ্ঞান করেছে, পাকিস্তানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, সে লোকটিকে কতিপয় বাঙালিরা হত্যা করলো? পাকিস্তানিদের জেলখানায় তাকে হত্যা করে কবর দেওয়ার পরিকল্পনা করা স্বত্ত্বেও যখন তা করতে পারল না, তখন কি না তার মৃত্যু হলো শেষ পর্যন্ত তারই স্বাধীন দেশের কিছু সুবিধাবাদী বাঙালি সৈন্যের হাতে?

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, দিনটি ছিলো শুক্রবার, পবিত্র দিন। এই পবিত্র দিনে বাংলাদেশের গায়ে দাগ কাটে অপবিত্রতা। কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের ‘ক্রাচের কর্নেল’ এবং অ্যান্থনী মাসকারেনহাসের ‘রক্তের ঋণ’ বইতে উদ্ধৃতি আছে, ‘সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং বাকশাল সেক্রেটারি শেখ ফজলুল হক মনি ও তৎকালীন মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলো মেজর রশিদ এবং তার ভায়রা মেজর ফারুক। তাদের সাথে এক এক করে যোগ দেয়- খন্দকার মোশতাক, তাহের ঠাকুর, মাহবুব চাষী, মেজর ডালিম, মেজর নূর, ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা, মেজর মহিউদ্দিন, রিসালদার মুসলেহউদ্দীনসহ আরো অনেকে।’ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে আরও একজন গুরুত্বপূর্ণ কুশীলব ছিলো, চট্টগ্রামের ফকির আন্ধা হাফেজ। যার সাথে মেজর রশিদ এবং মেজর ফারুক পরামর্শ করতেন।

মেজর রশিদ এবং মেজর ফারুকের নির্দেশ অনুযায়ী শেখ মুজিবের বাড়ি আক্রমণের দায়িত্ব নেয় মেজর মহিউদ্দীন, সঙ্গে নূর এবং বজলুল হুদা। সেই ভোর রাতে শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্বের কাছে মেজর মহিউদ্দিন দারুণ ঘাবড়ে যায়। সশরীরে কাঁপতে থাকে। তা দেখে মেজর হুদা এসে হম্বিতম্বি করতে থাকে। কড়া ভাষায় রাষ্ট্রপতি শেখ সাহেবের সাথে কথা বলে এবং তার সাথে নিচে নেমে আসতে বাধ্য করে। বঙ্গবন্ধু বারান্দার মুখে এসে দাঁড়ান। ঠিক সেই মুহূর্তে মেজর নূর সিঁড়ির গোড়ায় এসে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। আচমকা ঘাতকের স্টেনগান থেকে বেরিয়ে আসে একঝাঁক বুলেট, একে একে ১৮টি গুলি। সিঁড়ির ধাপে গড়িয়ে পড়েন স্বাধীন বাংলাদেশর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। মেজর ডালিম বঙ্গবন্ধুর বাসায় আক্রমণের পরিবর্তে স্বেচ্ছায় সেরনিয়াবাতের বাসায় আক্রমণের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নেয়। অপরদিকে শেখ মনির বাসায় আক্রমণের দায়িত্বে থাকে ফারুকের খুব বিশ্বস্ত কসাই রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। আর মূলহোতা অপারেশন কমান্ডার মেজর ফারুক তার ট্যাংক বাহিনী নিয়ে রক্ষীবাহিনীকে প্রতিহত করার দায়িত্ব পালন করে। মেজর ফারুকের ভায়রা মেজর রশিদের প্রধান কাজ ছিল অপারেশন পরবর্তী অবস্থা সামাল দেওয়া ও খন্দকার মোশতাককে রাষ্ট্রপতি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সমন্বয় সাধন। পাশাপাশি রেডিও স্টেশন, ধানমন্ডি এলাকা, ইউনিভার্সিটি, নিউমার্কেট এরিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নজর রাখা। বঙ্গবন্ধুকে উৎখাতের জন্য এ যেন সুদীর্ঘ সময় ধরে করা পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের কালো ম্যাপ।

আনুমানিক সকাল সাড়ে ছয়টা। রেডিওতে ঘাতক মেজর ডালিমের ঘোষণা পুনঃপুন প্রচারিত হচ্ছে, ‘আমি মেজর ডালিম বলছি...’ এই তিক্ত বিষাদ ভাষণ পুরো বাংলাদেশকে সেদিন ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। এ ঘোষণা নয়, এ এক গর্বিত বাঙালি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি ও কলঙ্কের ইশতিহার পাঠ। যে অপূরণীয় ক্ষতি বাঙালির প্রাণশক্তির আঁধার হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘যে ক্ষতি পূরণ হইবে না, যে বিচ্ছেদের প্রতিকার নাই, তাহাকে ভুলিবার শক্তি প্রাণশক্তির একটি প্রধান অঙ্গ।’ ফিরে যাই আবার কালের চাক্ষুস সাক্ষী ধানমন্ডির সেই বাড়িতে, ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর বাড়ি তৈরির সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি। ফলে দীর্ঘ কয়েক বছর বাড়িটি তৎকালীন সরকার সীলগালা করে। বিভিন্ন মহলে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার নানাবিধ কর্ম চলতে থাকে। অতঃপর ১৯৮৩ সালের জুন মাসে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ এবং ‘দৈনিক বাংলার বাণী’ পত্রিকায় বাড়িটির নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। যদিও নিলাম পরে আর হয়নি। অবশেষে ১৯৮৫ সালে ওই ঋণ মওকুফ করে দেওয়া হয়। ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার এ ভবনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর স্থাপনের ঘোষণা দেন। বাড়িটির বর্তমান ঠিকানা বাসা নং ১০, রোড নং ১১, ধানমন্ডি, ঢাকা।

আগস্ট গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের অষ্টম মাস। রোমান সম্রাট আগস্টাসের সম্মানে এই মাসের নামকরণ আগস্ট করা হলেও বাঙালির কাছে এক নিষ্ঠুরতম বেদনাহত আগস্ট মাস। আগস্ট মাস মহৎপ্রাণ মানুষদের প্রস্থানের মাস। এ মাস দুঃখের মাস, বিচ্ছেদের মাস, ইতিহাসের নেতিবাচক পট পরিবর্তনের মাস। এ মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তিরোধান করেন। বহুমাত্রিক মননশীল লেখক হুমায়ুন আজাদ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমান মারা যান। এ মাসে বঙ্গদেশ বিভক্ত করার জন্য বঙ্গভঙ্গ আইন ঘোষিত হয়। অন্যদিকে নেলসন ম্যান্ডেলাকে প্রায় তিন দশকের জন্য কারাগারে অন্তরীণ করা হয়। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা হামলা হয় ৬ ও ৯ আগস্ট।

এ ছাড়া ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতা প্রতিবছর এ মাসে বাঙালির চোখে দাউ দাউ করে জ্বলে! আগস্ট এলেই চোখ ভিজে যায় জলে, মন কেঁপে ওঠে বিভীষিকাময় আতঙ্ক, বেদনা ও শোকে। তা সত্ত্বেও সমস্ত ভয়কে জয় করে, সমস্ত শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু-রবীন্দ্রনাথ-নজরুল যে পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই পথে হেঁটেই যেন গাওয়া হয় ভবিষ্যৎ বাঙালির জয়গান- এই হোক আাগস্টের ব্রত। চোখের কোণে যেন প্রতিফলিত হয় প্রত্যয়ের আগুন। বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না।’

লেখক: সাংবাদিক, লেখক, কলামিস্ট ও শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

এসইউ/এএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।