লকডাউনের বিকেলে আকাশে রং-বেরঙের ঘুড়ি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২০

বিকেল হলেই রং-বেরঙের ঘুড়ি উড়তে দেখা যাচ্ছে মাগুরার আকাশে। কেউ ঘুড়ি উড়াচ্ছেন বাড়ির ছাদে। কেউ বা আবার খোলা মাঠ বা নদীর ধারে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে একরকম বন্দি জীবন কাটাচ্ছে মাগুরাবাসী। ফলে শিশু-কিশোররা পড়েছে চরম অসুবিধায়।

একদিকে স্কুল-কলেজ বন্ধ, অন্যদিকে খেলাধুলারও উপায় নেই। সারাদিন টিভি, কম্পিউটার, ফেসবুক চালিয়ে যেন হাপিয়ে উঠেছে তারা। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে এখন বাড়ির ছাদে ও খোলা জায়গায় ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ লাভের চেষ্টা করছেন।

ঘুড়িপ্রেমীরা বলেন, ‘আমাদের দেশে পঙ্খীরাজ, মালাদ্বার, কাউঠাদ্বার, চাপালিশ, চশমাদ্বারসহ বিভিন্ন নামের ঘুড়ি আছে। তবে ঘুড়ির চেয়েও বেশি দৃষ্টি কাড়ে এর লেজ। ঘুড়ি অনেক আকৃতির ও রং-বেরঙের হয়ে থাকে। এর সঙ্গে ঘুড়ি উড়ানোর লাটাইয়ের নামও বেশ আকর্ষণীয়। যেমন- বাটিওয়ালা, মখুবান্ধা, মুখছাড়া ইত্যাদি।’

jagonews24

লুবনা ইয়াসমীন নামের একজন ঘুড়িপ্রেমী জাগো নিউজকে জানান, গত মাসের শুরুর দিকে ঢাকা থেকে মাগুরায় বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে লকডাউনে আটকে গেছেন। দীর্ঘদিন ঘরের মধ্যে থেকে আর ভালো লাগছে না। তাই বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিদিন বিকেলে বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়ান। এতে একদিকে বাচ্চারা যেমন গ্রামবাংলার হারাতে বসা ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারছে, অন্যদিকে তাদের চিত্ত-বিনোদনেরও সুযোগ মিলছে।

তিনি আরও জানান, লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তাই কাগজ ও পলিথিন কেটে ঘুড়ি তৈরি করাও শেখাচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া কাঁথা সেলাইয়ের সুতা দিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন তিনি। এতে বাচ্চারা খুব মজা পাচ্ছে।

পারনান্দুয়ালী প্রজেক্ট এলাকায় ঘুড়ি উড়াতে আসা কবির নামের এক ছাত্র বলেন, ‘ঘরে বসে বসে টিভি-সিনেমা দেখতে এখন আর ভালো লাগে না। তাই মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলেই ঘুড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।’

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষের মনে চিত্ত-বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

মো. আরাফাত হোসেন/এসইউ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।