নিবন্ধন ছাড়া যানবাহন আটক হলে যা করবেন
সড়কে যানবাহন নিয়ে বের হন অনেকেই। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন না থাকলে পড়তে হয় ঝামেলায়। ফলে অনেক চালকই জানতে চান নিবন্ধনবিহীন যানবাহন আটক বা ডাম্পিং হলে করণীয় কি? সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন সার্জেন্ট সরদার মুহিব—
প্রথমত: যানবাহন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বিআরটিএতে টাকা জমা দিয়ে আসতে হবে। যেহেতু মোটরযান প্রদর্শন করা ছাড়া রেজিস্ট্রেশন বা ফিটনেস করা যায় না। এরপর ইন্স্যুরেন্স করিয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত: বিআরটিএর রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেওয়ার কাগজ ও ডাম্পিং স্লিপের মূলকপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক অফিসে যেতে হবে এবং জরিমানা দিতে হবে।
যে কারণে জরিমানা হতে পারে: রেজিস্ট্রেশন বা নিব্ন্ধন হয়নি অর্থাৎ গাড়িতে যে সব কাগজপত্র থাকার কথা, তার একটিও নেই। যেমন- মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন, ইন্স্যুরেন্স এবং ড্রাইভারের লাইসেন্সও এর সাথে অত্যাবশ্যক। পাশাপাশি শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্যও এখানে যোগ হতে পারে, যেমন- উল্টা পথে চালনা, মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহন, হেলমেট না পরা ইত্যাদি। এছাড়া যে রেকার দিয়ে গাড়িটি ডাম্পিং করা হয়েছে, তার ভাড়াও অবশ্যই দিতে হবে।
জরিমানা কত হবে: জরিমানার পরিমাণ নিম্নলিখিত হারে হতে পারে-
১. রেজিস্ট্রেশন না করার জন্য সদ্য প্রচলিত মোটরযান আইন-২০১৮ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা (ধারা-৭২)।
২. ট্যাক্স টোকেনের জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার (ধারা-৭৬)।
৩. ইন্স্যুরেন্স না থাকার জন্য এ আইনে কোনো জরিমানার কথা উল্লেখ নেই।
৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার জন্য ২৫ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) অন্য সব মেট্রোপলিটনই নিজস্ব অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এসব এলাকায় নাগরিকদের অধিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে জরিমানার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়। যেমন- ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা। রেজিস্ট্রেশন না থাকায় জরিমানা ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা।
আবার মানবিক দিক বিবেচনায় অনেকগুলো ধারার অপরাধ করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দু-একটি ধারায় জরিমানা করা হয়। এ মামলার ক্ষেত্রে রেকার ভাড়াসহ ১০-১২ হাজার টাকার বেশি লাগার কথা নয়।
লেখক: ইনচার্জ ক্যাশ ও রেকার শাখা, ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা।
এসইউ/এমকেএইচ