গাড়ির ‘কেস স্লিপ’ হারিয়ে গেলে কী করবেন?
ট্রাফিক আইন অমান্য করায় জরিমানার শিকার হতে হয় অনেককে। প্রচলিত ভাষায় যাকে বলা হয় ‘কেস স্লিপ’। যা দেখিয়ে নির্ধারিত জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মামলা থেকে অব্যহতি নিতে হয়।
অনেক সময় হারিয়ে যায় জরিমানার এই ‘কেস স্লিপ’। যা নিয়ে ভুক্তভোগীদের দু:শ্চিন্তার যেন শেষ নেই।
আজ আপনাকে জানাবো ‘কেস স্লিপ’ হারিয়ে গেলে কী করবেন?
১. নিকটস্থ থানায় গিয়ে গাড়ি নাম্বার উল্লেখপূর্বক কেস স্লিপ হারানোর বর্ণনা দিয়ে জিডি (সাধারন ডায়েরি) করুন।
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে রাখুন।
৩. সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক অফিসে জিডি কপি ও পরিচয়পত্রের কপি দিয়ে জানিয়ে দিন আপনার কেস স্লিপ হারিয়ে গেছে।
৪. ট্রাফিক অফিস আপনার গাড়ির মামলার তথ্য যাচাই করবে।
৫. ট্রাফিক অফিস মামলার আইডি ও জরিমানার পরিমাণ আপনাকে জানিয়ে দেবে।
৬. আপনি ইউক্যাশে জরিমানা পরিশোধ করার পর জিডি ও পরিচয়পত্রের কপি জমা দিয়ে আপনার ডকুমেন্টটি পেয়ে যাবেন।
সম্প্রতি রাজধানীতে জনপ্রিয় হয়েছে রাইড শেয়ারিং সেবা। অ্যাপে ডাকলেই গাড়ি চলে আসে। গাড়ির নাম্বার মিলিয়ে তবেই গন্তব্যে যাওয়ার নিয়ম এই সেবায়।
যে কোন গাড়ির পেছনে বা সামনে থাকে নানা রকমের নাম্বার প্লেট। যেখানে থাকে জেলার নাম, নাম্বারসহ আরো একটি বর্ণ। এই বর্ণে কি তথ্য রয়েছে তা কী জানেন?
বিআরটিএ এর অনুমোদিত সকল যানবাহনে নাম্বার প্লেট ব্যবহারের নিয়ম চালু হয় ১৯৭৩ সালে। যানবাহনগুলোর নাম্বার প্লেটের ফরম্যাট হচ্ছে- ‘শহরের নাম, গাড়ির ক্যাটাগরি ক্রম এবং গাড়ির নাম্বার’।
যেমন- ঢাকা মেট্রো য-১১২৫৯৯। এখানে ‘ঢাকা মেট্রো’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আওতাধীন। ‘য’ হচ্ছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ির চিহ্নকারী বর্ণ।
অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন সব গাড়ি ‘য’ বর্ণ দ্বারা চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তী ‘১১’ হচ্ছে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং ‘২৫৯৯’ হচ্ছে গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার।
এনিয়ে আরো জানতে পড়ুন - গাড়ির নাম্বার প্লেটের কোন বর্ণের কী অর্থ?
এএ