পলাতক সেই সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা


প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৫

সোনালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখা থেকে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ টাকা আত্মসাত করে গা ঢাকা দেয়া সিনিয়র কর্মকর্তা শেখ মাহফুজুর রহমানকে আসামি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বাগেরহাট সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক খান বাবলুর রহমান বাদি হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

বাগেরহাট সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অডিট চলাকালে গত ৩ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট প্রধান শাখার সিনিয়র অফিসার শেখ মাহাফুজুর রহমান লোনের ডকুমেন্ট না দেখিয়ে গা ঢাকা দেন। তখন বিষয়টি নিয়ে অডিট টিমের কাছে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। সেই থেকে ওই কর্মকর্তাকে আর খুঁজে পাচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এরপর অভ্যন্তরীণ অডিট টিম বাগেরহাট শাখার লোন ডকুমেন্ট পর্যালোচনা শুরু করলে বেরিয়ে পড়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা।

মামলার বাদি সোনালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখা ব্যাবস্থাপক খান বাবলুর রহমান জানান, ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ইতিপূর্বে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং পরে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির পর্যবেক্ষণকালে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ টাকা গরমিল পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামালা করা হয়।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোজাম্মেল হক জানান, সোনালী বাংক বাগেরহাট শাখার সিনিয়র অফিসার মাহাফুজুর রহমান ২০১২ সালের ২ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১০টি হিসাবের (ব্যাংক অ্যাকাউন্ট) মাধ্যমে গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে ওই অর্থ আত্মসাত করেন। ব্যাংকের খুলনা অফিসের অডিট টিমের নিরীক্ষাকালে এ জালিয়াতির তথ্য ফাঁস হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে আছেন ওই কর্মকর্তা।

সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলাকালে সিনিয়র অফিসার মাহাফুজুর রহমান তার নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ব্যাংকে ৩৫ লাখ টাকা প্রদান করেছে। মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হবে বলে ওসি জানান।

বাগেরহাট শাখার ওই সিনিয়র কমকর্তা শিক্ষা সঞ্চয়ী স্কিম, মেডিকেল ডিপোজিট স্কিম ও স্থায়ী আমানত স্কিমসহ ব্যাংকে গচ্ছিত বিভিন্ন স্কিমের ঋণ বিতারণের বিষয়টি দেখভাল করতেন। মাহাফুজুর রহমান তিন বছর ধরে বাগেরহাটে সোনালী ব্যাংকের এই শাখায় কর্মরত আছেন।

এক বছর আগে তাকে একবার বদলি করা হলেও লবিং করে বিধিবহির্ভুতভাবে আবারো এই শাখায় ফিরে আসেন। অল্প সময়ে কয়েকটি পিকআপ ও মাইক্রোবাস কিনে শহরে রেন্ট-এ কার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। হজরত খানজাহান (রহ.) মাজার মোড়ে একটি রেস্টুরেন্টও খুলে বসেছেন তিনি।

শওকত আলী বাবু/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।