খুলনায় ট্রাক ও হিউম্যান হলার চালকদের সংঘর্ষ
হিউম্যান হলারের ভাড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে খুলনার দৌলতপুর এলাকায় ট্রাক ও হিউম্যান হলার চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের হাতে ২০/২৫টি ট্রাক ও হিউম্যান হলার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ১০/১২ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ট্রাক শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করায় খুলনা-যশোর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ট্রাক ড্রাইভার রিয়াজ ও ইমরান হিউম্যান হলারে চড়ে দৌলতপুর নামেন। এসময় ভাড়া নিয়ে হিউম্যান হলার চালক সেলিমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে অন্য হিউম্যান হলার চালকরা সেখানে এসে ওই দুই ট্রাক চালককে মারধর করেন।
ঘটনার জেরে বুধবার সকালে ট্রাক ড্রাইভাররা মহানগরীর নূরনগর, বৈকালী, মানিকতলা ও রেলিগেট এলাকায় কয়েকটি হিউম্যান হলার ভাঙচুর করেন। এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ট্রাক চালক আশরাফুল, শ্যামল, সুরুজ, জসিম, রবি ও সোহাগ আহত হন।
পরে হিউম্যান হলার চালকরা একত্রিত হয়ে দৌলতপুর, নতুন রাস্তার মোড়, মহসিন মোড় ও রেলিগেট এলাকায় কয়েকটি ট্রাকে হামলা চালান। এসময় তারা কয়েকটি ট্রাকও ভাঙচুর করেন।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ট্রাক চালকরা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রেলগেট এলাকায় খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। অপরদিকে হিউম্যান হলার চালকরা দৌলতপুর বেবিস্ট্যান্ডে একই সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর-খুলনা বেবিট্যাক্সি ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হালিম বন্দ জাগো নিউজকে বলেন, ট্রাকচালকরা ভাড়া কম দেয়ায় প্রতিবাদ জানানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ১৭টি হিউম্যান হলার ভাঙচুর করে ও চালকদের মারধর করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, বিনা কারণে মাহিন্দ্রা চালকরা ১৪টি ট্রাক ভাঙচুর করে ও ১০/১২ জন চালককে মারধর করেছে।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুটি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে।
আলমগীর হান্নান/এমজেড/এমএস