কেমন যাবে ২০১৯
এসেছে নতুন বছর ২০১৯। জেনে নিতে পারেন কেমন যাবে আপনার ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ।
মেষ (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)
ধন উপার্জন হবে অল্প। সঞ্চয়ের পরিমাণ কম হলেও আয়-ব্যয়ের সমতা বজায় থাকবে বলে মনে হয়। আয়ের পরিমাণ কম হলেও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়তে হবে না। যাঁরা চাকরির সঙ্গে যুক্ত আছেন তাঁদের আর্থিক চিন্তায় মাঝে মাঝে ব্যাকুল হতে হবে। ছোট ব্যবসায়ীগণও অনেক সমস্যার সন্মুখীন হবেন। উদরপীড়া, গুহ্যরোগ, শ্লেষ্মাঘটিত ব্যাধি ও নেত্ররোগের জন্য মাঝেমধ্যে কিছু কষ্টভোগ করতে হতে পারে। তবে কোনও গুরুতর রোগ বা শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হবে না বলে মনে হয়। পিতা-মাতার শারীরিক অবস্থা ভাল না-ও থাকতে পারে। তাঁদের স্বাস্থ্যভঙ্গ ও আচরণ বৈষম্যে মন ভারাক্রান্ত থাকবে, ভ্রাতা-ভগিনীদের আচরণে দুঃখিত ও চিন্তিত হওয়া অমূলক নয়। এ বছর তাঁদের সঙ্গে বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে। তাঁদের সঙ্গে সম্পত্তিঘটিত গোলযোগ মামলা-মোকদ্দমাতেও পরিণত হতে পারে। এ বছর পুত্রসন্তান লাভের আশা করা যেতেই পারে। বন্ধুদের মধ্যে বেশির ভাগই আপনার স্বপক্ষে থাকবে। আত্মীয়বর্গের সঙ্গে সত্তার সম্পর্ক স্থায়ী হবে না। পত্নীর আগের কোনও রোগ নিরাময়ের আশায় কিছু অর্থব্যয় অসম্ভব নয়। তবে নতুন করে তাঁর কোনও বড় রোগে ভোগার আশঙ্কা নেই। জরায়ুঘটিত কোনও রোগে অনেক দিন ধরে আক্রান্ত থেকে থাকেন তা হলে ওই রোগের প্রকোপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য দিকে উত্তরাধিকার সূত্রে হোক বা অন্য কোনও উপায়ে হোক, তাঁর ধনসম্পদলাভ (স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি লাভও) হওয়ার সম্ভাবনা দৃষ্ট হয়। শত্রুর দ্বারা বেশি অনিষ্টের আশঙ্কা নেই। এ রাশির জাতকের এ বছরে উচ্চবর্ণীয় গৌরবর্ণ কোনও ব্যক্তির সহায়তায় অনেক সমস্যার সমাধান ও বিদ্যালাভের পথ সুগম হবে বলে অনুমিত হয়। ধর্মাচরণে প্রবৃত্ত হলে কিছু সুফল পাওয়া সম্ভব। উল্লিখিত সমস্যার প্রতিকার কল্পে প্রতি দিন ইষ্টমন্ত্র বা শিবমন্ত্র জপ কিংবা নবগ্রহ কবচ ধারণ কর্তব্য।
বৃষ (২১ এপ্রিল - ২১ মে)
বছরের শুরুতে রাশির উপরে বৃহস্পতির দৃষ্টি থাকার ফলে এ বছর উপার্জন মন্দ হবে না। ব্যয় বেশি হলেও, আয়ব্যয়ের সমতা থাকবে। সঞ্চয় বেশি না-ও হতে পারে। তবে ঋণ করতে হবে না। ব্যবসায়ীগণের পক্ষে বেশি ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। অনেকের কাছেই আটকে থাকা টাকাপয়সা আদায় করতে হিমশিম খেতে হবে। হয়তো বা সব টাকা আদায় না-ও হতে পারে। বছরের বেশির ভাগ সময় শারীরিক-আর্থিক-মানসিক-পারিবারিক-পারিপার্শ্বিক কারণে মন বিশেষ চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকবে বলে মনে হয়, এবছর দৈহিক ক্লেশভোগের আশঙ্কা প্রবল। বায়ু ও রক্তচাপাধিক্য, শ্লেষ্মাধিক্য (সর্দি-কাশি), জ্বর, স্নায়ুদুর্বলতা প্রভৃতি কষ্টভোগের কারণ হতে পারে। অল্পস্বল্প আঘাত পাওয়াও সম্ভব। অনারোগ্য বা দুরারোগ্য কোনও কঠিন রোগভোগ অসম্ভব নয়। এ বছর বিদ্যালাভে কোনও কারণে বিঘ্ন আসতে পারে। পরীক্ষার ফল আশানুরূপ না-ও হতে পারে। সর্বক্ষেত্রে অধিক ধৈর্য অবলম্বন না করলে শান্তি বিঘ্নিত হবে। পত্নীর স্বাস্থ্য চিন্তার কারণ হতে পারে। তবে সন্তানদের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে বলে মনে হয়। তাদের লেখাপড়ায় অমনোযোগ মানসিক কষ্টের কারণ হতে পারে। এ বছর ভাইবোনদের সঙ্গে সামান্য মনোমালিন্য বা মতবিরোধের যোগ আছে। তবে তাঁদের সঙ্গে বিচ্ছেদের কোনও সম্ভাবনা নেই। মাতৃ-ভাব অপেক্ষাকৃত শুভ। পিতার জীবনসংশয়কারী রোগের ফলে বিশেষ বিব্রত হয়ে পড়তে হবে। বন্ধুভাব শুভ নয়। শত্রুভাব অতিশয় অশুভ। গুপ্তশত্রুর দ্বারা অধিক অনিষ্টের আশঙ্কা অমূলক নয়। ধর্মাচরণে মন আকৃষ্ট হবে না। তথাপি ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে ধর্মকর্মে মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করা কর্তব্য। ধর্মপথে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে অশুভের উপশম ও কিছু শুভ ফললাভের আশা আছে। পঞ্চাঙ্গ স্বস্ত্যয়নে সুফল পাওয়া যাবে।
মিথুন (২২ মে - ২১ জুন)
বছরের শুরুতে রাশির উপরে শনির দৃষ্টি থাকার ফলে বছরটি সকল কাজে একটু বাধা বেশি থাকবে ও এই বছরটি শুভাশুভ মিশ্র বৎসর। শরীর বেশি ভাল না থাকতে পারে। শ্লেষ্মাধিক্য, বায়ুচাপাধিক্য ও শিরঃপীড়া শারীরিক ক্লেশের কারণ হতে পারে। চলাফেরায় সাবধানতা অবলম্বন করা কর্তব্য। আঘাত পাওয়ার দুর্বল যোগ আছে। শারীরিক অবস্থা বেশি ভাল না হলেও আর্থিক অবস্থা ভাল থাকবে। এ বছর যথেষ্ট অর্থোপার্জন হবে সন্দেহ নেই। ব্যয়াধিক্যের যোগও ক্ষীণ। সুতরাং এ রাশির জাতক বর্তমান বছরে অধিক ধনসঞ্চয়ে সক্ষম হবে। ব্যবসায় অধিক উন্নতি লাভের যোগ লক্ষ্য করা যায়। আত্মীয় বিরোধ, বন্ধুবিচ্ছেদ, মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়া প্রভৃতির আশঙ্কা অমূলক নয়। পত্নীর স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। স্ত্রী বিয়োগের যোগকেও অস্বীকার করা যায় না। পত্নীর সঙ্গে মতবিরোধ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা উচিত। সন্তানদের রোগভোগ যোগদৃষ্ট হয়। লেখাপড়ায় তাদের মনোযোগের অভাব ঘটবে। পরীক্ষার ফল ভাল না-ও হতে পারে। মাতা বা পিতৃভাব মোটামুটি শুভ বলা যায়। পিতা বা মাতার কাছ থেকে কিছু সম্পত্তি এ বছর লাভ হতে পারে। ভ্রাতৃভাব খুব একটা অশুভ নয়। এ বছর শত্রু দমনের বছর বলে ধরে নিতে পারেন। বিদ্যালাভে বিঘ্ন ঘটতে পারে বটে, কিন্তু পরীক্ষার ফল মন্দ হবে না। ধর্মভাব শুভ। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রেখে ধর্মাচরণে ব্রতী হলে সুফল পাওয়া যাবে। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করলে মঙ্গলকর হবে।
কর্কট (২২ জুন - ২২ জুলাই)
এই বছর রাশির উপরে রাহুর থাকার জন্য খরচ একটু বেশি হবে। শরীরের প্রতি নজর ও বিশেষ যত্ন নেওয়া আবশ্যক। পেটের রোগ, মাথায় আঘাত লাগার যোগ দেখা যাচ্ছে। ছোটখাটো রোগে এ বছর ভোগান্তি হতে পারে। একাধিক বার জ্বরাক্রান্ত হওয়ার যোগ আছে। এ বছর প্রচুর অর্থ উপার্জনের বছর মনে রেখে কাজে লিপ্ত থাকা দরকার। একাধিক কর্মের মাধ্যমে ধনাগম হবে। ঠিকাদারি কর্ম ও অন্য ব্যবসায় ধনলাভ হবে বেশি। ব্যয়াধিক্য যোগ থাকলেও অর্থ সঞ্চয় ভাল হবে। সন্তানদের স্বাস্থ্যহানির প্রবল যোগ দেখা যাচ্ছে। তাদের লেখাপড়া নিয়েও একটু চিন্তিত থাকতে হতে পারে। খুব ভাল করে চেষ্টা করলে পরীক্ষার ফল মোটামুটি ভাল হবে বলে ধরা যায়। একটি সন্তানের আচরণে শিষ্টতার অভাব হবে। তবে বছরের মাঝখানে নিজের শরীরের জন্য অর্থব্যয় হতে পারে। পত্নীর স্বাস্থ্যের হানি হতে পারে, এমনকি শরীরে কোথাও অস্ত্রোপচারও হতে পারে। পিতা বা পিতৃস্থানীয় কারও শরীর নিয়ে সমস্যা হতে পারে। মায়ের সঙ্গে খুব ভেবেচিন্তে কথা বলতে হবে বা ব্যবহার ঠিক রাখতে হবে, না হলে মতবিরোধ হতে পারে। বিদ্যালাভে বিঘ্ন সৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ব্যাপারে শুভ ফলের আশা করতে পারেন। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বা নতুন বন্ধু হতে পারে। এবং কোনও বন্ধুর দ্বারা উপকার পেতে পারেন। শত্রু থাকলেও তারা বেশি অনিষ্ট করতে পারবে না। ধর্মে বিশ্বাস থাকলেও ধর্মাচরণে মতি বিশেষ থাকবে না। কোনও মহাপুরুষের আশীর্বাদপ্রাপ্তির যোগ দেখা যাচ্ছে। নিজের ইষ্টদেবতার আরাধনা বা শিবমন্ত্র জপ করলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কোনও সন্দেহ নেই।
সিংহ (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)
সিংহ রাশির জাতকের পক্ষে ২০১৯ সব মিলিয়ে ভাল ফলের বছর। তবে বছরের প্রথম দিকে কোনও আঘাত লাগতে পারে, কারণ মঙ্গল এই রাশির উপরে দৃষ্টি দিয়ে আছে। এ বছর অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে এবং প্রচুর ধনোপার্জন হবে। শুধু তাই নয়, এ বছরটি ধনসঞ্চয়ের পক্ষেও অতিশয় শুভ সময়। উপার্জিত অর্থের দুই-তৃতীয়াংশের অধিক সম্পদ সঞ্চিত থাকবে। এক-তৃতীয়াংশের কম ব্যয় হবে। কর্ম ক্ষেত্রে সুনাম বৃদ্ধি, পদোন্নতি, উন্নতমানের নতুন কর্মলাভ প্রভৃতির প্রবল যোগ বিদ্যমান। বিশেষ উন্নতিমূলক কর্মের জন্য স্থানান্তর গমন, এমনকি বিদেশ গমনও সম্ভব হতে পারে। ভ্রাতা-ভগ্নীদের দ্বারা উপকৃত হওয়ার যোগ রয়েছে। বন্ধুর দ্বারা অনিষ্টের আশঙ্কা নেই বটে, তবে ঈর্ষা পরায়ণ বন্ধুরূপী শত্রু সম্বন্ধে বিশেষ সতর্ক থাকা একান্ত প্রয়োজন। সন্তানের জন্য চিত্ত ব্যাকুল হতে পারে। এ বছর অবশ্য সন্তানের কৃতিত্বে বংশের মুখ উজ্জ্বল হওয়ার প্রবল যোগ আছে। সন্তানদের স্বাস্থ্য ভালই থাকবে বলে মনে হয়। বছরের শেষ ভাগে স্ত্রীর শরীর নিয়ে চিন্তা প্রবল। মায়ের থেকে বেশি বাবার কাছ থেকে উপকার পাওয়ার আশা রাখা যায়। সামাজিক কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার যোগ দেখা যাচ্ছে। উত্তেজিত হওয়া, অধিক চিন্তা করা, যে কোনও ধরনের বিবাদে লিপ্ত হওয়া প্রভৃতি এড়িয়ে চলা অবশ্যক। বিদ্যালাভে শুভাশুভ ফল লাভের যোগ দেখা যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিষয়ে সাফল্য লাভ। নিজের ইষ্টদেবতার প্রতি মনোনিবেশ করার বিশেষ প্রয়োজন আছে। কৃষ্ণমন্ত্র জপ করলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কন্যা (২৪ আগস্ট - ২৩ সেপ্টেম্বর)
এ বছর অর্থ উপার্জনের যোগ আছে প্রচুর, কিন্তু তার সঙ্গে অর্থ নাশের যোগও বিদ্যমান। তথাপি উপার্জন ভাল হওয়ায় দারিদ্র জনিত ক্লেশভোগের আশঙ্কা নেই। বড় ব্যবসায়ীগণ তীব্র প্রতিযোগিতার সন্মুখীন হতে পারেন বটে, তবে সাফল্য আপনারই হবে। আলস্য, দীর্ঘসূত্রিতা, হতাশা প্রভৃতি ত্যাগ করে দ্বিগুণ উৎসাহে সাফল্যের জন্য যত্নবান হলে সব বাধা-বিপত্তি দূর হবে। শিক্ষক, অধ্যাপক, চিকিৎসক ও ঔষধ নির্মাণকারীগণের জন্য এটি অতিশয় সুবৎসর। লেখাপড়ায় সফল হওয়ার যোগ দৃষ্টমান। বাতরোগ, নেত্রপীড়া, প্লীহা-যকৃৎ সংক্রান্ত ব্যাধিতে ভোগান্তি হতে পারে। এ বছর শরীরের অসুস্থতার খুব একটা উন্নতি হবে না, আবার খুব অবনতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পুত্র-কন্যাদের দৈহিক ক্লেশ ভোগের সম্ভবনা আছে। তবে বড় ধরনের কোনও রোগের সম্ভবনা নেই। তাদের পড়াশোনায় প্রথমের দিকে একটু বাধা আসবে, কিন্তু পরে সেই বাধা উত্তীর্ণ করে সফলতা পাবে। যদি কোনও সন্তান বিবাহের যোগ্য হয়, তা হলে এ বছর তার বিবাহ নিয়ে একটু ঝঞ্ঝাট থাকবে। ভাই-বোনদের সঙ্গে কোনও বিষয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে। তাদের কোনও ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হওয়ার সম্ভবনা আছে। মাতৃভাব শুভ নয়। তার সঙ্গে মতবিরোধের আশঙ্কা প্রবল। পিতার স্বাস্থ্যের বিশেষ কোনও পরিবর্তন নেই। তবে তাঁর সঙ্গেও সামান্য মতান্তর ঘটতে পারে। খুব বড় ধরনের কোনও বিরোধ হবে না। বন্ধুভাব ভাল পরিলক্ষিত হচ্ছে না, বরং অতিশয় অশুভ। বন্ধুর দ্বারা অনিষ্টের আশঙ্কা সমধিক পরিমাণে বিদ্যমান। এ বছর একাধিক গুপ্ত শত্রু থাকবে। বিশেষ করে কর্মের প্রতিযোগিতার জন্য গুপ্ত শত্রু বৃদ্ধি হতে পারে। পত্নীর স্থান শুভ বলেই ধরা যায়। কিন্তু বছরের শেষের দিকে একটু বিবাদের যোগ দেখা যাচ্ছে। তার শরীর নিয়ে একটু চিন্তিত থাকতে হতে পারে। সদগুরু লাভ ও আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভের প্রবল যোগ দৃষ্টমান। এক কথায় ধর্ম ভাব শুভ।
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর - ২৩ অক্টোবর)
বছরের প্রথম দিকে অর্থভাব খুব শুভ হলেও, বছরের মাঝখানে আর্থিক দিকে একটু সমস্যা দেখা দেবে। ব্যয়ও যেমন হবে, সঞ্চয় তারই মধ্যে হবে, তবে সঞ্চয়ের পরিমাণ কম। নতুন কর্মে নিযুক্ত হতে পারেন। চিকিৎসক, আইন সংক্রান্ত চাকরি, জমি কেনাবেচার কাজ ইত্যাদিতে উন্নতি করবে বেশি। শরীর বেশি ভাল নাও থাকতে পারে। বায়ুর প্রকোপ বৃদ্ধি ও মুত্রাশয় ঘটিত রোগে অধিক ক্লেশ ভোগের আশঙ্কা আছে। চলাফেরায় সাবধানতা অবলম্বন বিশেষ জরুরি। যানবাহনে বাড়তি সাবধানতা নেওয়া প্রয়োজন। মার্চের শেষের দিক থেকে জুলাই পর্যন্ত অর্থব্যয়ের মূল সময়, সেই সময় খুব সাবধানে জীবনযাত্রা নির্বাহের চেষ্টা করা উচিত। সন্তানরা একটু অবাধ্য হয়ে উঠতে পারে। বড় ধরনের কোনও রোগ না হলেও, শরীর নিয়ে ছোটখাটো চিন্তা থাকবে। প্রেমের বিষয়ে অতিরিক্ত আবেগি হওয়া ঠিক হবে না। প্রেমের বিষয়ে কোনও গোলমাল সামনে এলে, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একঘেয়েমি জীবনযাত্রার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে। বছরের মাঝামাঝি ভ্রমণের যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে। পিতার স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখা কর্তব্য। ভাই-বোনদের থেকে বিশেষ উপকার পাওয়ার আশা রাখতে পারেন। নারী শত্রুর দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সম্ভবনা আছে। ধর্মে খুব একটা মতি দেখা যাবে না। কালীমন্ত্র জপে অনেকটা শান্তি পেতে পারেন।
বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর - ২২ নভেম্বর)
বৃশ্চিক রাশির উপরে বৃহস্পতি থাকার জন্য ধনভাব শুভ। গত বছরের সঙ্গে যদি আর্থিক অবস্থার তুলনা করা হয়, তা হলে এক কথায় বলা যায় বৃশ্চিক রাশির আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। সঞ্চয়ের পরিমাণও খুব ভাল থাকবে না, কারণ আগের ঋণ শোধ করবার জন্য অর্থ খরচ হবে। উত্তরাধিকার সুত্রে ধন-সম্পত্তি লাভ, লটারি প্রভৃতিতে অর্থাগম, কর্মে পদোন্নতির ও প্রসারতা লাভাদি সুফলের পুর্ণযোগ লক্ষিত হয়। অলসতা, শৈথিল্য প্রভৃতি ত্যাগ করে পুর্ণোদ্যমে কর্মে ব্রতী হলে, সুফলের আশা করাই যায়। বর্তমান বছরটি এ রাশির জাতকের জন্য ধনসঞ্চয়ের বছর বলে গণ্য হয়। কিঞ্চিৎ ব্যয়ের যোগ আছে। আর্থিক অবস্থা শুভ হলেও শরীর নিয়ে ক্লেশ ভোগের আশঙ্কা আছে। রক্ত আমাশা, অজীর্ণ বাত, আঘাত প্রাপ্তির যোগ রয়েছে প্রবল। এ বছর আগুন থেকে খুব সাবধান থাকতে হবে। তা ছাড়া হৃদরোগে ভোগার সম্ভবনাও দেখা যাচ্ছে। তবে এর কোনওটাই খুব বড় আকার ধারণ করবে না। স্ত্রীর সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় থাকবে। তবে স্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে একটু চিন্তিত থাকতে হতে পারে। বছরের প্রথম তিন মাস সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তা থাকবে। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে লেখাপড়া নিয়েও কিঞ্চিৎ চিন্তা বাসা বাঁধতে পারে, তবে পুরোটাই অল্প সময়ের জন্য। এ বছর পিতা, মাতা, ভাই-বোনদের শরীর ভাল থাকলেও মতের অমিল হতে পারে। বাড়িতে বিবাহ যোগ্য কেউ থাকলে তার এ বছর বিবাহ হওয়ার যোগ আছে। শত্রুর সংখ্যা বন্ধুর তুলনায় কম হবে আশা করা যাচ্ছে। বেশি সংখ্যক বন্ধুর দ্বারা উপকৃত হওয়ার যোগ দেখা যাচ্ছে। শত্রুরা অনিষ্টের চেষ্টায় সফলতা পাবে না। এ বছর প্রেমের যোগ দারুণ ভাবে দেখা যাচ্ছে। ধর্মে অনীহা কাটিয়ে উঠতে পারলে, উন্নতি আরও উচ্চ শিখরে যাবে। ইষ্টমন্ত্র জপ নিয়মিত করা আবশ্যক।
ধনু (২৩ নভেম্বর - ২১ ডিসেম্বর)
এ বছর রাশির উপরে শনি থাকার জন্য ধনভাব একটু খারাপ। অর্থ উপার্জন কম হবে, আবার সঞ্চয়ও হবে কম। যে কোনও ব্যবসা বা নতুন চাকরি যাই হোক না কেন, সব দিক থেকেই ধনু রাশির এ বছর উন্নতি কম হওয়ার যোগ দেখা যাচ্ছে। তা ছাড়া যিনি যে কর্মে নিযুক্ত আছেন, তিনি সেই কর্মে নিযুক্ত থকলেও উন্নতি লাভে বিলম্ব হবে। এমনকি অনেক দিনের আটকে থাকা টাকারও প্রাপ্তিতে বাধা আসবে। বছরের মাঝখানের দিকে কোনও যানবাহন কেনার যোগ দেখা যাচ্ছে। সব কিছুর মাঝখানে আবেগ ধরে রাখতে হবে, খুব আবেগী হয়ে পড়লে নিজের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। বছরের বেশির ভাগটা ভাল কাটলেও শেষের দিকে শরীর নিয়ে একটু সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ভ্রমণের যোগ প্রবল, তবে কোনও কারণে এতে বাধা আসতে পারে। বিদ্যালাভে সেরকম কোনও বাধা নেই। বিজ্ঞান, গণিত ইত্যাদির চর্চায় ভাল অগ্রসর হওয়ার যোগ। লেখাপড়ার জন্য বিদেশ যাত্রার পরিকল্পনা এ বছর করা যেতে পারে। সন্তানদের কাছ থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়ার আশা রাখতে পারেন। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য বিপদের আশঙ্কা আছে, তাই সংযমী ভাব বজায় রাখুন। যে কোনও ঝগড়া, তর্ক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এই বছর পিতার কোনও উপদেশ খুব উপকারে লাগতে পারে। বন্ধুদের যোগ ভাল থাকলেও, এরই মধ্যে দু’একজন গুপ্ত শত্রুও থাকবে। তাই সঠিক বিচার করেই বন্ধু নির্বাচন করতে হবে। সেবামূলক কাজে দান ধ্যান করা খুব শুভ হবে।
মকর (২২ ডিসেম্বর - ২০ জানুয়ারি)
রাশির উপরে কেতু ও রাহুর দৃষ্টি থাকার জন্য খরচ বেশি হবে ও সারা বছর নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও আর্থিক ব্যাপারে বিশেষ শুভফল লাভ হবে। আয় ও ব্যয়ের পরিমাণ সমান থাকবে বলা চলে। তবে ভাল উপার্জনের সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়ও হবে খুব ভাল। কর্মহীনের কর্মপ্রাপ্তি, কর্মরত ব্যক্তিদের পদোন্নতি ও উন্নতিমূলক কর্মে স্থানান্তর গমন যোগ প্রবল। জ্যোতিষী, সোনা-রুপোর ব্যবসায়ী, আমদানী-রপ্তানী, গভেষক ও রসায়নবিদগণের সামনে সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে, এবং এসব বিষয়ে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করতে পারবে। শারীরিক অবস্থা শুভ নয়, সারা বছরই কিছু না কিছু ছোটখাটো রোগ ভোগ করতে হতেই পারে। চলাফেরায় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, রক্তপাতের যোগ বিদ্যমান। সম্ভবতঃ শারীরিক চাপের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপও বৃদ্ধি পেতে পারে, এবং এর ফলস্বরূপ বিদ্যাচর্চায় পুনঃ পুনঃ ব্যাঘাত আসতে পারে। কিন্তু পড়াশোনায় চেষ্টার ত্রুটি করলে চলবে না। তুচ্ছ কারণে পারিবারিক অশান্তি দেখা দেবে। দাম্পত্য কলহ মাঝে মাঝেই হবে, কিন্তু প্রচুর ধৈর্য সহকারে বছরটি অতিক্রম করতে না পারলে পত্নীর সঙ্গে বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটতে পারে। সন্তানের কোনও কৃতিত্বে বংশের গৌরব বৃদ্ধি হতে পারে। মা-বাবা, ভাই-বোন বা পরিবারের যে কোনও সদস্যদের সঙ্গে খুব বুঝে চলতে হবে। মাতা অপেক্ষা পিতার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। বন্ধুর সাহায্য বিশেষ উপকার সাধিত হবে। শত্রু পক্ষ খুব একটা অনিষ্ট ঘটাতে পারবে না। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে বছরের প্রথম দিকে বন্ধু প্রভাবে খরচ বৃদ্ধি বা কিছু ক্ষতি হতে পারে। ধর্ম কাজে মনোনিবেশ করতে পারলে এসকল বিপত্তি থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
কুম্ভ (২১ জানুয়ারি - ১৮ ফেব্রুয়ারি)
এই বছর সকল কাজে একটা বাধা থাকবে। ব্যয় হবে বেশি, সঞ্চয় হবে অল্প। এ বছর কর্মে সুযোগ আসবে প্রচুর তবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেই সুযোগগুলি কাজে লাগাতে পারলে উন্নতির আশা করা যায়। যার কর্ম যত বেশি প্রসারিত হবে তাকে তত বেশি বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হবে, কিন্তু অধৈর্য হলে চলবে না। এ বছরটা ঝঞ্ঝাটপূর্ণ, সতর্ক পদক্ষেপ প্রয়োজন। একটু ভুল পদক্ষেপ সম্মানহানি ঘটাতে পারে। এ বছর দৈহিক ক্লেশ ভোগ, মানসিক স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব, পত্নীর স্বাস্থ্যহানি প্রভৃতির ফলে বিব্রত হয়ে পড়া সম্ভব। এর মধ্যেও নতুন গৃহ নির্মাণ বা উত্তরাধিকার সূত্রে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ লাভ সম্ভব হবে বলে মনে হয়। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে পরীক্ষায় বিশেষ শুভফল লাভের আশা সমধিক পরিমাণে বিদ্যমান। সন্তানদের প্রতিযোগিতামূলক কাজের জন্য অতিশয় আনন্দলাভ ও গৌরব বৃদ্ধি হতে পারে। এ বছর মা-বাবার সঙ্গে তীর্থস্থানে ভ্রমণ যোগ প্রবল। পিতা-মাতার শরীর ভাল থাকবে আশা করা যায়। অবিবাহিতদের বিবাহের যোগ দেখা যাচ্ছে। ভ্রাতা ও ভগ্নীর সঙ্গে বিবাদের সম্ভাবনা আছে। বন্ধুভাব ভাল থাকলেও, বেশি নতুন বন্ধু না করাই ভাল। কারণ এ বছর বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই প্রয়োজনের সময়ে দূরে সরে যাবে। ধর্মভাব ভালই থাকবে। দক্ষিণাকালীর পুজো করলে উপকৃত হবেন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি - ২০ মার্চ)
এ বছরটি সার্বিক বিচারে শুভাশুভ মিশ্রিত হলেও আর্থিক ব্যাপারে অতিশয় শুভ সন্দেহ নেই। এ বছর ধনোপার্জন ভালই হবে। অর্থ জমানোর ব্যাপারে নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে। শিক্ষক, চিকিৎসক, রসায়ন বিদ্যার গবেষক ও জ্যোতির্বিদদের পক্ষে বছরটি বিশেষ শুভ। ব্যবসায়ীদের একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এ বছর প্রেমে পা বাড়ানোর আগে খুব ভাবনা চিন্তা করা দরকার, প্রত্যাখ্যাত হওয়ার যোগ আছে। কিন্তু চেষ্টা না ছাড়লে সফল হওয়ার আশা করা যায়। এ বছর বিদ্যালাভে কোনও বাধার যোগ দেখা যাচ্ছে না। সংসারের কিছু বিষয় আপনাকে বিব্রত করতে পারে। সব কিছুর মধ্যেও স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভাল থাকার আশা করা যায়। তবে অন্যান্য আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। বিদ্যালাভে শুভাশুভ ফল লাভের যোগ দেখা যাচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিষয়ে সাফল্য লাভ। শত্রু বেশি নেই বললেই চলে। তবে গুপ্ত শত্রু থাকা অসম্ভব নয়। নতুন কোনও কিছু করার আশা এ বছর না করাই ভাল। সাধুসঙ্গে আধ্যত্মিক উন্নতির যোগ আছে।
এএ