যে তিন অভ্যাস আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে!

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৮

সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আমরা কত কিছুই না করি। নিয়মিত শরীরচর্চা, নানা রকমের ডায়েট মেনে চলা, চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়া সবই তো সুস্থ থাকার জন্য!

কিন্তু আমাদের কিছু অসাবধানতা বা বাজে অভ্যাসের জন্য নিজের অজান্তেই বাড়ছে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি! জেনে নিতে পারেন এমন ৩টি অভ্যাস।

বালিশের নিচে বা বুক পকেটে ফোন রাখা: মোবাইল ফোন বর্তমানে অত্যন্ত অপরিহার্য একটি সামগ্রি। এই মোবাইল ফোন জামার বুক পকেটে রেখে সারাদিনই নিজের নানা কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন অনেকেই। আর রাতে ঘুমানোর সময় বালিশের নীচে ফোন রাখাটাও অনেকেরই অভ্যাস। কিন্তু জানেন কি, বুক পকেটে ফোন রাখা বা বিছানায় বালিশের নিচে ফোন রাখার অভ্যাস আপনার আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে খুব দ্রুত? মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর রেডিয়েশন আমাদের হৃদযন্ত্র (হার্ট) ও মস্তিষ্কের (ব্রেইন) জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করাই ভাল।

রাত জাগার অভ্যাস: এখন তরুণ প্রজন্মের রাত জাগার অভ্যাসটা অনেক বেশি। সারাদিন ক্লাস করে এসেও রাতে না ঘুমিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাট বা অন্যান্য বিষয় ঘাঁটাঘাঁটি করে রাত কাটিয়ে দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন অনেকেই। তাছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন অফিস-কাছাড়িতেও ‘নাইট সিফট’-এ কাজের চাপ আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা বার বার এই বিষয়টির প্রমাণ দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের পর দিন রাত জাগার অভ্যাস আয়ু কমিয়ে দেয় খুব দ্রুত। সেই সঙ্গে নানা রকমের শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।

দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে থাকা: ইদানীং প্রায় সব অফিসেই এক নাগাড়ে চেয়ারে বসে কাজ করতে হয় দীর্ঘ সময়। ফলে অনেকেরই ভুঁড়ি বেড়ে যায় খুব দ্রুত। সেই সঙ্গে দেখা দেয় চোখের ও পিঠের নানা সমস্যা। একটানা বেশি সময় বসে থাকার অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে হার্টের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত মেদ জমার ফলে নানা রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় যা অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।

এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।