চাকরির অদ্ভুত ইন্টারভিউ!

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৮

চাকরির প্রত্যাশা তো সবারই। তাই তো ইন্টারভিউ দেওয়া। ইন্টারভিউতে কি কিছু খেতে দেওয়া হয়? দিতেও পারে। খাওয়া- না খাওয়া প্রার্থীর ব্যাপার। তবে খেতে বাধ্য করা হতো এক ইন্টারভিউতে। সেই খাবারের ওপর নির্ভর করতো প্রার্থীর চাকরির হওয়া- না হওয়া।

শুনে অবাক হলেও ঘটনা কিন্তু সত্য। আসলে ঝাল-টক কোনো কিছু খাওয়ার সময় পাতে কাঁচা লবণ আলাদা করে ছিটিয়ে নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। আর এতেই সমস্যায় পড়তে হয় ইন্টারভিউ বোর্ডে! এমনকি প্রার্থীর চাকরি বাতিলও হয়ে যেতে পারে। শুধু লবণ নয়, একই কথা প্রযোজ্য মরিচের গুঁড়ার ক্ষেত্রেও।

ধরুন, চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছেন। সৌজন্যবশত আপনাকে এক বাটি স্যুপ দেওয়া হলো। আপনিও খুশি হয়ে তাতে লবণ-মরিচ ছিটিয়ে খেলেন। ভাবলেন, কর্তৃপক্ষ যখন একেবারে স্যুপের বাটিই সামনে দিয়েছে, তাহলে নিশ্চয়ই চাকরি হয়ে গেছে! অথবা ভাবলেন, আপনাকে দেখেই তারা অনেক খুশি।

আসলে তা নয়! কারণ স্যুপে লবণ-মরিচ দিতে দেখেই চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাটুকু হারিয়ে গেল। কিন্তু কেন? এবার বলি মূল ঘটনা, ওই ইন্টারভিউ বোর্ডের প্রধান ছিলেন বাল্ব আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন। এডিসন তার কোম্পানিতে কাউকে চাকরি দেওয়ার আগে লবণ-মরিচের অদ্ভুত পদ্ধতি কাজে লাগাতেন।

ইন্টারভিউ দিতে এলে তাকে স্যুপ খেতে দিতেন এডিসন। ওই ব্যক্তি যদি একবারও স্যুপ টেস্ট না করেই লবণ-মরিচ ছিটিয়ে দিতেন, তাহলে তাকে বাদ দেওয়া হতো! এডিসন মনে করতেন, যে একবার পরীক্ষা না করেই স্যুপের উপর লবণ-মরিচ ছিটিয়ে নেয়, তার নিজস্ব বিচার-বিবেচনা বোধ কম। তাকে চাকরি দেওয়া যায় না।

এসইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।