শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে যমুনা ফিউচার পার্ক


প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৫

মাত্র পাঁচ দিন বাকি ঈদের। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক মার্কেটের ঈদ কেনাকাটা। দিন রাত এখানে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষণীয়। যমুনা ফিউচার পার্কে দেশ-বিদেশের নামিদামি ব্র্যান্ডের অনেক শোরুম থাকায় সব ধরনের ক্রেতারা এখানে আসছে তাদের পছন্দমত ঈদের পোশাক কিনতে।

সোমবার দুপুরে পোশাক ছাড়াও অন্যান্য ঈদ সামগ্রীও ক্রেতাদের কিনতে দেখা গেছে। মূলত এখন দেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীর পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত এই শপিংমল। প্রচুর লোক সমাগম হলেও শপিংমল সুবিশাল পরিসর আর বিশাল আকৃতির হওয়ায় অন্যসব মার্কেটের মত এখানে নেই ধাক্কাধাক্কির বিড়ম্বনা। সবমিলে এখানকার আর্ন্তজাতিক মানের নান্দনিক সৌন্দর্য কেনাকাটায় এনেছে ভিন্ন আমেজ। এছাড়া রয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।

সোমবার শপিংমলটি ঘুরে দেখা গেছে, শাড়ি, জামা-কাপড়, জুতা, গহনা, ঘড়ি,কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল,পারফিউমসহ সব ধরনের পণ্যের ব্র্যান্ড ও নন ব্র্যান্ড দোকান রয়েছে এখানে। তাই প্রিয়জনদের পছন্দের জিনিস বাছাইয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে না ঘুরে ক্রেতারা ভিড় করছেন যমুনা ফিউচার পার্কে। এক ছাদের নিচে দেশের প্রথমসারির সব ব্র্যান্ড এর সুবিশাল সব শোরুম থেকে তারা পছন্দের জিনিসপত্র কেনা-কাটা করছেন। এদিকে, ক্রেতাদের ভিড় থাকায় পার্কের সামনের রাস্তা সব সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ রাস্তায় চলাচলকারীদের।
 
ফিউচার পার্ক মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের সবচেয়ে অভিজাত এবং অত্যাধুনিক শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক। তাই রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষের বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে এর প্রতি। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে প্রচুর বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের ভিড়ও ততো বাড়ছে বলে জানান তারা।

যুমনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, নিচতলায় রয়েছে আড়ং, ইনফিনিটি, ক্যাটসআই, নবরুপা, আর্টিষ্টি, আর্টিজান, সেইলর, সাদাকালো, কেক্রাফটসহ বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের পোশাকের সমাহার। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে, ইয়েলো, গ্রামীণ,এস্টেটি, রিচম্যান, আর্টিজন, আর্টিস্টি কালেকশন, ফিটএলিগেন্সসহ অনেক নামিদামি ব্রান্ডের শো-রুম। তৃতীয় তলায় রয়েছে স্বর্ণালংকার, ডায়মন্ড জুয়েলারী, শাড়ী ও ঘড়ি, মার্কেটের চতুর্থ তলায় রয়েছে বাটা, গ্যালারি এপেক্স, জিলস, লট্রোসহ সবধরনের দেশি-বিদেশি ব্রান্ডের জুতার বিশাল সমাহার। এছাড়া, যুমনা ফিউচার পার্ক শপিংমলের আয়োজনে বাদ পড়েনি শিশুরাও। শিশুদের জন্য দেশের একমাত্র হাইপারশপ কিডসপ্যারাডাইস, কিডল্যান্ড, বেবিশপ এবং টক্সেমার্ট জুনিয়রসহ বেশকিছু শো-রুমে রয়েছে শিশুদের দেশি-বিদেশি নানারকম সামগ্রী।

এ মার্কেটে দেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীর পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণাও কম নয়। তারা জানান, যমুনা ফিউচার পার্কের কাছে কূটনৈতিক পাড়া। উত্তরা, বসুন্ধরা আবাসিক, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, গুলশানের অবস্থানও মার্কেটের আশপাশে।

এখানে ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রয়েছে বিভিন্ন অফার। ক্যাশ ব্যাক, বিশেষ ডিসকাউন্ট আর কুপনের নানা উপহার ক্রেতাদের মনে জাগিয়েছে শপিংয়ের ভিন্ন স্বাদ। কেনাকাটার পাশাপাশি ক্রেতাদের মনোরঞ্জনে যমুনা ফিউচার পার্কের ইস্টকোর্টে সার্কাসের আয়োজন করা হয়েছে। কেনাকাটার ফাঁকে সার্কাস দেখে আনন্দিত হতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে ঈদের কেনাকাটাকে আরও আকর্ষণীয় করতে ফিউচার পার্কের ওয়েস্টকোর্টে চলছে থাই ঈদ মেলা। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের পোশাক, প্রসাধনী। এছাড়া থাই মেলায় আরও পাওয়া যাচ্ছে থাইল্যান্ডের নানা স্বাদের ফল ও মনভোলানো চকোলেট। এই আয়োজন ফিউচার পার্কে আগত ক্রেতাদের জন্য কেনাকাটায় ভিন্নতা এনেছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

পোশাকের মধ্যে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি, স্টোন ও অ্যামব্রয়ডারির সংমিশ্রণের পোশাক। সফট জর্জেট ও শিফনের ওপরে কামিজ ও কুর্তি ফ্যাশন সচেতনদের প্রধান টার্গেট। কুর্তিগুলো অ্যামব্রয়ডারি, স্টোন, কুন্দন, পার্ল, জরি এবং বিভিন্ন কারুকার্জে সজ্জিত। এক্সক্লুসিভ থ্রিপিসে বিভিন্ন স্টোন, পার্ল, গ্লাস, অ্যামব্রয়ডারি, স্টোনের বোতামের সংমিশ্রণে ভরপুর। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নরমাল কামিজ। কামিজের বিভিন্ন স্টাইলে পাড় বসানোর সঙ্গে তো স্টোন ও জরির কাজ আছেই। এছাড়া,কটন থ্রিপিস ও নেটের লেস বসানো থ্রিপিস কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। এক্সক্লুসিভ পোশাকে জরির কাজের পাশাপাশি কুন্দন ও মুক্তার ব্যবহার করায় দৃষ্টি কেড়েছে তরুণীদের। কারুকাজে ভরপুর এসব পোশাকে স্টোনের বোতাম ব্যবহারের মাধ্যমে আরও আকর্ষণীয়ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

আরএম/এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।