মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘প্রিয় মুক্তিপিন’

আরিফুল ইসলাম আরমান
আরিফুল ইসলাম আরমান আরিফুল ইসলাম আরমান
প্রকাশিত: ০৬:৪০ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

জামালপুর শহরে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ডিগ্রি হোস্টেল। দীর্ঘ সময় ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই হোস্টেলটি ছিল হানাদার বাহিনীর টর্চার সেল। এই প্রজন্মের অনেকের কাছেই এই তথ্য অজানা। কারণ এই টর্চার সেলটি সংরক্ষণের জন্য নেই কোন উদ্যোগ। তবে ভার্চুয়াল বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের এই স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রিয় লিমিটেড।

বাংলাদেশের ডিজিটাল ম্যাপে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘প্রিয় মুক্তিপিন’ নামের এই উদ্যোগে তুলে ধরা হচ্ছে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতিচিহ্ন। তৈরি করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বড় ডিজিটাল আর্কাইভ।

প্রিয় লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাকারিয়া স্বপন বলেন, বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে যে কেউ প্রিয় মুক্তিপিনের ম্যাপে পিনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও ছবি যুক্ত করতে পারবেন। এরপর নির্ধারিত বিচারক প্যানেল পিনের সত্যতা যাচাইপূর্বক ম্যাপে প্রকাশ করবেন। ২০১৮ সালের মার্চে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক সঠিক মুক্তি পিনদাতাদের মধ্য থেকে প্রথম ১০০ জনের প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। এরই মধ্যে এই ডিজিটাল ম্যাপে প্রায় দুই হাজার মুক্তিপিন যুক্ত করো হয়েছে।

উদ্যোক্তারা আশা করছেন, এই ডিজিটাল আর্কাইভ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পৌঁছে দেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে। এই উদ্যোগকে সফল করতে দেশজুড়ে চলছে রোড শোসহ নানা ক্যাম্পেইন।

কীভাবে পিন করবেন?
১. আপনার স্মার্টফোনটিতে প্রিয় অ্যাপটি ডাউনলোড করুন অথবা ব্রাউজার থেকে priyo.com/muktipin ওয়েবপেইজটি ভিজিট করুন।

২. ওয়েবপেইজ বা অ্যাপটি লোড হওয়ার পর আপনার সামনে উন্মুক্ত হওয়া স্ক্রীনে ‘পিন করুন’ নামক বাটনটি ক্লিক করুন

৩. একটি উইন্ডো প্রদর্শিত হবে, সেখানে আপনার প্রাথমিক তথ্য (নাম, ফোন নাম্বার এবং ইমেইল) দেয়ার পর, আপনার পিন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দিন।

৪. মুক্তিপিনের টাইটেল, ওই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ছবি (এক বা একাধিক ছবি ব্যবহার করা যাবে), ঘটনার বিবরণ, সময়কাল (বাধ্যতামূলক নয়) লিখে সঠিক স্থানটি ম্যাপে সংযুক্ত করে পোষ্ট বাটনে ক্লিক করুন।

৫. ঘটনা সংশ্লিষ্ট সঠিক জায়গাটি ম্যাপে পিন করার সুবিধার্থে ম্যাপের সাথে সংযুক্ত সার্চ অপশনে জায়গাটির নাম লিখে ‘এন্টার’ ক্লিক করুন। এরপর সঠিক জায়গাটি ম্যাপের মধ্য থেকে খুঁজে বের করে পিন করুন।

৬. পোষ্ট করার পর আপনার পিনটি প্রাথমিক ভাবে ম্যাপে সংরক্ষিত হবে। কিছু সময় পর যাচাই-বাছাই (ভেরিফিকেশন) প্রক্রিয়া শেষে আপনার পিনটি মুক্তি পিন ম্যাপে স্থায়িভাবে প্রকাশ করা হবে।

৭. পিন প্রদানের জন্য আপনার দেয়া তথ্যগুলো অবশ্যই বাংলায় হতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিকোড কিংবা অভ্র, অংকুর ইত্যাদি ফন্ট ব্যবহার করা যাবে।

৮. ঐতিহাসিক জায়গাটির যুদ্ধের সময়কার তৎকালীন ছবি দেয়া বাধ্যতামূলক নয়। বর্তমানে ওই স্থানটি যেমন অবস্থায় আছে সেই ছবিটিও প্রদান করা যাবে।

৯. মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কোন অবান্তর ঘটনা পিন করা হলে কিংবা পিনকৃত ঘটনাটির সত্যতা না পাওয়া গেলে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে ম্যাপ থেকে মুছে ফেলা হবে।

এএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।