লালমনিরহাটের ২ ছিটমহলে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিলেন ৮৯ জন


প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৫

তৃতীয় দিনের মতো লালমনিরহাটের অভ্যন্তরে থাকা ছিটমহলগুলোতে চলছে যৌথ জরিপ কার্যক্রম।  আর এ তিনদিনে লালমনিরহাটের দুটি ছিটমহলে এ পর্যন্ত ৮৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশু ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য ছবি তুলে ফরমে স্বাক্ষর দিয়েছেন।

বুধবার বিকেল পর্যন্ত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার ১৩৬ নম্বর উত্তর গোতামারী ছিটমহলের ৭টি পরিবারের ২১ জন এবং পাটগ্রামের ১১৯ নম্বর বাঁশকাটা ছিটমহলের ১৫টি পরিবারের ৬৮ জনসহ মোট ৮৯ জন মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে নিজেদের মূল ভূখণ্ডে ফিরতে সম্মতি জানিয়েছেন।

ফলে জরিপকারীরা তাদের ছবি তুলেছেন এবং নির্দিষ্ট ফরমে স্বাক্ষর নিয়েছেন।  ছিটমহলের বেশিরভাগ হিন্দু পরিবার ভারতে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বিনদ চন্দ্র (৫০) জাগো নিউজকে জানান, ভারতে সব আত্মীয়-স্বজন থাকায় আমরা স্বপরিবারে ভারতে যাচ্ছি। তিনি মনে করছেন যে, সে দেশে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানান।
 
পাটগ্রামের ১১৯ নম্বর বাঁশকাটা ছিটমহলের জপিরকারী আতাউর রহমান জাগো নিউজকে জানান, বিকেল পর্যন্ত ১৫টি হিন্দু পরিবারের ৮৯ জন মানুষ ভারতের নাগরিকত্বের জন্য ছবি তুলেছেন এবং নির্দিষ্ট ফরমে স্বাক্ষর দিয়েছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার (সুপারভাইজার) সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, উত্তর গোতামারী ১৩৬ এর ২ নং ছিটমহলের ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য ৭টি হিন্দু পরিবারের ২১ জন নারী-পুরুষ ছবি তুলেছেন এবং নির্দিষ্ট ফরমে স্বাক্ষর দিয়েছেন। ভারতের সুপারভাইজার দাওয়া নরবু লামা ও জরিপ কারী মিন্টু রায় এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে হাতীবান্ধার ছিটমহলগুলোর জরিপ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন ভারতীয় তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার দুপুরে দলটি বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রম দেখে নিজেদের সন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন।

অপরদিকে বাংলাদেশি ছিটমহলের জরিপ কার্যক্রম দেখেতে বিকেলে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে চার দিনের সফরে বাংলাদেশি আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারত গেছেন। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিনু শীল।

রবিউল হাসান/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।