বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে চাইলে


প্রকাশিত: ০৭:৩৮ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ঢাকায় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রের দোকান দেখা যায়। তবে এসব দোকান থেকে চাইলেই যে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করতে পারে না। আবার যারা ক্রয় করতে পারেন তারা ক্রয়ের পর সরাসরি তা বহন করতে পারেন না। এজন্য আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়।

যাদেরকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়:
বাংলাদেশে চলমান ১৮৭৮ সালের Arms Act ও ১৯২৪ সালের Arms Rules এর আওতায় সামরিক/বেসামরিক/অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে নিম্নবর্ণিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনিষিদ্ধ বোরের আগ্নেয়াস্ত্রসমূহের লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

শর্তসমূহ:
১. যে কোন ব্যক্তি একটি লং ব্যারেল (বন্দুক/শর্টগান/.২২ বোর রাইফেল) এবং একটি শর্ট ব্যারেল (এনপিবি রিভলবার/পিস্তল) সর্বোচ্চ দু’টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

২. আবেদনকারীর বয়স ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ (ত্রিশ) বছর এবং লং ব্যারেলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫ (পঁচিশ) বছর হতে হয়।

৩. আবেদনকারীকে অবশ্যই আয়কর দাতা হতে হয়। শিল্পপতি/বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বছরে ন্যূনতম ২.০ (দুই লক্ষা) টাকা আয়কর প্রদান করতে হয়। আবেদনকারীর অনুকূল পুলিশ প্রতিবেদন থাকতে হয়।

৪. অনিষিদ্ধবোরের সকল প্রকার লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদান করা হয়। তবে পিস্তল ও রিভলবার লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ আবেদনকারীর ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন এবং প্রকৃত প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে রিভলবার/পিস্তল লাইসেন্স প্রদানের সুপারিশসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুর্বানুমতির জন্য প্রেরণ করবে। অন্যান্য লং ব্যারেল অস্ত্রের ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লাইসেন্স প্রদান করেন।

৫. সরকারের উপ-সচিব ও তদুর্ধ পরযায়ের কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর মেজর ও সমমর্যাদা সম্পন্ন কর্মকর্তাগণকে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

৬. বার্ধক্যজনিত/মৃত্যুজনিত কারণে উত্তরাধিকারীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র হস্তান্তর প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ সম্পন্ন করেন। এক্ষেত্রে লাইসেন্সধারী মৃত ব্যক্তির Death Certificate, ওয়ারিশান সনদ, লাইসেন্সধারী/ওয়ারিশগণ কর্তৃক ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকার স্ট্যাম্পে নাদাবি হলফনামা, অনুকূল পুলিশ প্রতিবেদন, বয়স প্রমাণের সনদপত্র ইত্যাদি প্রয়োজন।

৭. মেরামত অযোগ্য/ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্রের পরিবর্তে নতুন অস্ত্র সংগ্রহ/ক্রয়, অস্ত্রের ধরন পরিবর্তন (অনুমতিসাপেক্ষে) করা যাবে। তবে লাইসেন্সে লিপিবদ্ধকরণের ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রয় করা যাবে না।

৮. কোন লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে অস্ত্র ক্রয়ের ৬ (ছয়) দিনের মধ্যে লাইসেন্স ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিকট ক্রয়কৃত অস্ত্র উপস্থাপন করে লাইসেন্সে অস্ত্রের তথ্যাটি লিপিবদ্ধ করতে হয়।

৯. আবেদনকারী যদি আর্মি এ্যাক্টের আওতাধীন ব্যক্তি হন (সামরিক কর্মকর্তা) তাহলে নিজ স্থায়ী আবাসস্থলের সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে আবেদন করতে পারেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।