বেনাপোল পৌর আ.লীগ নেতা মহাতাব অপহৃত
ঢাকা থেকে ফেরার পথে যশোরের বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মহাতাব উদ্দিনকে (৫৬) অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়েছে বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। অপহৃত মহাতাব উদ্দিন বেনাপোল গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।
মহাতাবের বড় ছেলে সোহেল হোসেন জানান, ব্যবসায়িক কাজে শনিবারে বাবা ঢাকায় যান। মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে করে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। বাসটি আরিচা ফেরিঘাটে আসার পর তার বাবা বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে সাদা পোশাকে একদল লোক অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় বাসের চালক ও তার সহকারীরা অপহরণকারীদের বাধা দিলে তারা নিজেদের ডিবি পরিচয় দেয়। এরপর থেকে বাবার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দলের পক্ষ থেকে ঢাকা ও যশোর র্যাব-ডিবিতে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন অপহরণের সঙ্গে তাদের কোনো সদস্য জড়িত নয়। এ নামের কোনো ব্যক্তিকে তারা আটকও করেনি। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে দলীয় কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে বলওে জানান তিনি।
বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। একের পর এক অপহরণ ও গুমের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন অভিযুক্তদের আটক করতে পারছে না। এছাড়া অপহরণকারীদের কাউকে উদ্ধারও করতে পারছে না।
এ খবর বেনাপোলে ছড়িয়ে পড়লে নেতা কর্মীদের মাঝে উওেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অপহৃতের পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে তাকে উদ্ধার করতে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ ওয়াজ মাহফিলে মারামারির ঘটনার জের ধরে বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহাতাব আহম্মেদকে (৫২) কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। ওই দিন বিকেলে শার্শা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাগজপুকুর এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষের ৮/১০ জন তার উপর হামলা করে। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জামাল হোসেন/এআরএ/আরআইপি