স্কিনি জিন্স প্যান্ট স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর


প্রকাশিত: ০৩:৩১ এএম, ২৪ জুন ২০১৫

স্কিনি জিন্স বা আঁটোসাঁটো জিন্স প্যান্ট গত এক দশক ধরে ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের কাছে খুবই জনপ্রিয় পোশাক। শুধুমাত্র ফ্যাশনের জন্য পরা এই আঁটোসাঁটো জিন্স প্যন্ট এক সময় মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এ জন্য আঁটোসাঁটো জিন্স প্যান্ট পরার বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলেছেন, এরকম পোশাক শরীরের পেশী এবং নার্ভের ক্ষতি করতে পারে।

জার্নাল অব নিউরোসার্জারি এন্ড সাইক্রিয়াট্রিতে চিকিৎসকরা এই মহিলার ঘটনা উল্লেখ করে ‘স্কিনি জিন্স’ বা আঁটোসাঁটো জিন্সের পোশাক পরার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন।

সম্প্রতি ৩৫ বছরের এক মহিলার পায়ের গোড়ালি ফুলে যাওয়ার পর তার পরনের আঁটোসাঁটো জিন্সের ট্রাউজার্স ডাক্তারদের কাঁচি দিয়ে কেটে খুলে নিতে হয়েছে।
চিকিৎসকদের ধারণা এই মহিলা ‘কম্পার্টমেন্টে সিনড্রোমে’ আক্রান্ত হয়েছিলেন। শরীরের একগুচ্ছ পেশী রক্তপাত এবং ফুলে যাওয়ার কারণে যে অবস্থার তৈরি হয় তাকেই চিকিৎসকরা ‘কম্পার্টমেন্টাল সিনড্রোম’ বলেন। এটি বেশ গুরুতর রূপ নিতে পারে।

৩৫ বছর বয়সী ওই নারী দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্কিন টাইট জিন্সের প্যান্ট পরে থাকতেন। আর এটাই তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকরা বলেন, পায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা জিন্স প্যান্ট পরার কারণে তার কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোম দেখা দিয়েছিল। এটা এমন এক সমস্যা যখন কয়েক রকমের পেশির মধ্যে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং পেশি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। জিন্স পরার কারণে তার কাফের মাসলে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে তিনি পা চালাতে পারছিলেন না। পড়ে যান তিনি। কয়েক ঘণ্টা এভাবেই পড়ে থাকেন তিনি।

রয়াল অ্যাডেলেইড হসপিটালে তাকে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা দেখেন, তার কাফের মাসল ফুলে গেছে। পরে ধীরে ধীরে পেশিতে রক্ত চঞ্চালন বৃদ্ধি করা হয়। কাফের পেশিতে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না তিনি। এতে করে তার পেশি এবং স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জানা যায়, একটি টাইট জিন্স টানা চারদিন পরে ছিলেন তিনি। এমন আরো কয়েক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা গেছে অনেকের মাঝে। আঁটোসাঁটো জিন্স প্যান্ট পরার কারণে যে এ মারাত্ম ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।

এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।