ওএসডি করা হলো এনবিএল এমডি হুদাকে
বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামসুল হুদাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউর আলমকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া। ন্যাশনাল ব্যাংকের টুইন টাওয়ার নির্মাণে ব্যর্থতা ও অনিয়মের অভিযোগে শামসুল হুদাকে ওএসডি করা হলো।
মঙ্গলবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, টুইন টাওয়ার নির্মাণে ব্যর্থতা ও অনিয়ম তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে। আর সেই কমিটির তদন্তের স্বার্থে এমডিকে ওএসডি করা হলো।
জানা গেছে, ব্যাংকটি টাওয়ার নির্মাণ বাবদ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ৫৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। শেষ হয়েছিল বেজমেন্টের তিনতলা পর্যন্ত। কিন্তু ধসের পর পুরো বেজমেন্টই বালি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ভবন নির্মাণ। আর এ ব্যর্থতা ও অনিয়মের বলি হচ্ছেন এমডি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজারে টুইন টাওয়ার নির্মাণ করছিল ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। নির্মাণাধীন অবস্থায় গত ২৭ মে সুন্দরবন হোটেল-সংলগ্ন সড়ক বেজমেন্টে ধসে পড়ে। পরে আরো কয়েক দফা ধসের ঘটনা ঘটে। এছাড়া আরো ধসের আশঙ্কায় বালি দিয়ে বেজমেন্ট ভরাট করে দেয় সিটি কর্পোরেশন।
ন্যাশনাল ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ভবন নির্মাণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন না পাওয়া, নির্মাণকাজ বাবদ ৫৩ কোটি টাকা বিদেশি কোম্পানিকে পরিশোধ করা ও সর্বশেষ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া -এসব বিষয়ে এমডির ওপর ক্ষুব্ধ ব্যাংকের পর্ষদ সদস্যরা।
শামসুল হুদা খানের আগে দায়িত্ব পালনকারী ব্যাংকটির এমডি শফিকুর রহমানকেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দায়িত্ব ছাড়তে হয়। এর আগে ২০১৪ সালের শুরুতে ব্যাংকের এমডি নিয়াজ আহমেদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ব্যাংকটি ছেড়ে যান। নিয়াজ আহমেদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্যোক্তারা কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান এমডির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ ব্যাংকটিতে যোগ দিতে রাজি হননি। পরে এমডি (চলতি) পদে দায়িত্ব পালনকারী অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এএমডি) নিয়োগ না দিয়ে আরেক এএমডি শফিকুর রহমানকে এমডি পদে নিয়োগ দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মেয়াদ শেষ হওয়ার পাঁচ মাস আগেই দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। এরপর এমডি হিসেবে চলতি দায়িত্ব পালনের পর পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পান শামছুল হুদা খান।
এসএ/আরএস/আরআই