হুমায়ূন আহমেদের নুহাশপল্লী

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৫ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৭

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ব্যক্তিজীবনে একজন সফল ব্যক্তি। লেখালেখির ভুবনে যেখানে নুন অানতে পান্তা ফুরায়; সেখানে চল্লিশ একর জমিতে বিশাল এক পল্লী গড়ে তোলা যেনতেন বিষয় নয়। তার উদাহরণ গাজীপুরের পিরুজ আলী গ্রামের নুহাশপল্লী। 

নুহাশপল্লী

nuhashpolli

নুহাশপল্লীতেই হুমায়ূন আহমেদ গড়ে তুলেছিলেন শ্যুটিংস্পট, দীঘি আর তিনটি সুদৃশ্য বাংলো। একটিতে থাকতেন আর বাকি দুটি ছিল তার শৈল্পিক চিন্তাধারার আরেক রূপ। 

নামকরণ

banglo

হুমায়ূন আহমেদের বড়ছেলে নুহাশ হুমায়ূনের নামানুসারে পল্লীটির নাম রাখা হয় ‘নুহাশপল্লী’। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এক দুর্গম এলাকায় তিনি নুহাশপল্লী গড়ে তোলেন। 

বৃষ্টিবিলাস

bristybilas

নুহাশপল্লীর উদ্যানের পূর্বদিকের খেজুর বাগানের পাশে ‘বৃষ্টিবিলাস’ নামে একটি অত্যাধুনিক ঘর রয়েছে। এর ছাদ টিনের তৈরি; যেন বৃষ্টি হলে শব্দ উপভোগ করা যায়। সুন্দর নকশা, ফলস সিলিং দেওয়া ঘরটি অনেক সুন্দর। 

ভূতবিলাস

vutbilas

একটু ভেতরে আরেকটি বাংলো রয়েছে যার নাম ‘ভূতবিলাস’। দুই কক্ষের আধুনিক বাংলোটির পেছনে ছোট পুকুর রয়েছে। যার চারিদিক সুন্দর ঘাসে মোড়া ঢাল দিয়ে ঘেরা, এই ঢালের চারিদিকে রয়েছে গাছ-গাছালি।

কাঠের সাঁকো

shako

ভূতবিলাসের পাশ দিয়ে একটি নড়বড়ে কাঠের সাঁকো রয়েছে। যেটার ওপর দিয়ে হেঁটে পুকুরের মাঝখানের ছোট্ট এক টুকরো দ্বীপাকারের ভূখণ্ডে যাওয়া যায়। 

মৎস্যকন্যা

matsokonna

দুর্লভ সব ওষুধি গাছ নিয়ে যে বাগান তৈরি করা হয়েছে; তার পেছনেই রূপকথার মৎস্যকন্যা আর রাক্ষস রয়েছে। আরো রয়েছে পদ্মপুকুর, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অমসৃণ সুইমিং পুল। 

সবুজ প্রকৃতি

field

নুহাশপল্লী যেন সবুজের সমারোহ। প্রাকৃতির এমন সৌন্দর্যের মাঝেও তিনি কৃত্রিম সৌন্দর্য দিয়ে আরো মোহনীয় করে তুলেছেন। যা ঘুরে দেখতে পারলে ভালোই লাগবে।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।