৭৮ বছর বয়সী রকস্টার (ভিডিও)


প্রকাশিত: ০৬:০৮ এএম, ০৬ জুলাই ২০১৭

রকস্টার বলতেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে তারুণ্যে উদ্দীপ্ত একদল নারী-পুরুষের ছবি। যাদের বাবরি দোলানো ঝাঁকড়া চুল, বিচিত্র সব অঙ্গভঙ্গি আর সাজসজ্জা দেখে আপ্লুত হয় দর্শক-শ্রোতার দল। কিন্তু ৭৮ বছর বয়সী রকস্টারের কথা কে কবে শুনেছেন?

এবার সেই ব্যতিক্রমী ঘটনাই ঘটেছে মধ্য এশিয়ায়। ওই বৃদ্ধা রকস্টারের গান ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার গানের কথাগুলোও কিন্তু অন্যরকম-
‘নানি, কি হয়েছে?
আমি গিয়েছিলাম পোস্টঅফিসে
পেনশনের টাকা তুলতে।
তো আপনি কি কিনলেন?
নারে নাতি কিছুই কিনিনি।
আমি তো টাকাই পাইনি।’
কাজাখিস্তানের এই র‌্যাপস্টারের নাম মারিয়াম। নাতি দিলশোদকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ব্যান্ড- যার নাম ‘নানির দল’। ওই ব্যান্ডের গীতিকার সুরকার মারিয়াম নিজেই। গান করেন নাতিকে সঙ্গে নিয়ে। প্রাত্যহিক জীবন আর সেই জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে গান করেন তারা।

mariam

শুধু দেশ নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তের আলোচিত বিষয়াদিও উঠে আসে মারিয়ামের গানে। যেমন-
‘আমি একটা বাগান আর কিছু মুরগি পেয়েছি,
বেঁচে থাকার জন্য এটাই যথেষ্ট।
আনন্দ আর প্রশান্তিময় জীবন আমার,
আর এতেই আমি দারুণ তৃপ্ত।’

নানির সঙ্গে গান করা নিয়ে উচ্ছ্বসিত নাতি দিলশোদ। তিনি বলেন, ‘আমি আমার নানির সঙ্গে করা গান করে বন্ধুদের অবাক করে দিতে চেয়েছিলাম। এজন্যই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলাম।’

mariam

কিন্তু শুধু বন্ধুরা নয়, এই ভিডিও দেখে মারিয়ামে ফিদা হয়ে গেছে গোটা বিশ্ব। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে ঝড় তুলেছে নানি-নাতির ভিডিও। অবশ্য ভিডিওটি নিয়ে যে শুধুই প্রশংসা হচ্ছে, তা কিন্তু নয়; সমালোচনাও হচ্ছে।

কাজাখিস্তানের কেউ কেউ মনে করছেন, এই ভিডিওর মাধ্যমে দিলশোদ বয়স্কদের অসম্মান করেছেন। তাদের এই ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে মারিয়াম বলেন, ‘আমি এই র্যাপ গানটির মাধ্যমে দর্শক-শ্রোতাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছি। তোমরা তোমাদের বাবা-মাকে ভুলে যেও না। তাদের ভালোবাসো এবং সম্মান করো তাদের মূল্যবোধকে।’

নানি-নাতি এখন ব্যস্ত রয়েছেন আস্ত এক অ্যালবামের কাজ নিয়ে। দেখা যাক, কী এমন নতুন ভিডিও নিয়ে হাজির হন তারা।

ভিডিওটি দেখতে চাইলে- 

সূত্র: বিবিসি

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।