তিস্তা ব্যারাজে উপচে পড়া ভিড়


প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ২৮ জুন ২০১৭

ঈদ আনন্দ উপভোগে ঈদের দিন থেকে টানা তিনদিন দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ, ১৫৫ একর জমির ওপর বিন্যাবতী রানীর বিশাল দীঘি নীলসাগর এবার পর্যটকদের বেশি কাছে টেনেছে। তাইতো এসব বিনোদন কেন্দ্রে চলছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

কৃত্রিমের চেয়ে প্রকৃতির সৃষ্ট বিনোদন কেন্দ্রে আনন্দ-উল্লাসের ভিন্নতা রয়েছে। তাইতো ভিন্নজগত, স্বপ্নপুরি, আনন্দনগর ও মায়া কাঁননের কৃত্রিমতার বিনোদন কেন্দ্রগুলো এবার ঈদ উৎসবে খুব একটা কাছে টানতে পারেনি।

Tista

নগর জীবনের ব্যস্ততা কাটিয়ে, শত বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু মানুষগুলো প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে যেন নতুন জীবন ফিরে পান। হাজারও দর্শনার্থীর উপস্থিতি যেন তাই বলে দেয়।

বুধবার ঈদের তৃতীয় দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পরিবার-পরিজন নিয়ে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় এলাকাগুলো। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন লোকজন। তাই এসব এলাকা শিশু থেকে শুরু করে, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, গরিব-ধনী, ছাত্র-ছাত্রীসহ সব বয়সের ও সর্বস্তরের মানুষের যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

Tista

পর্যটকদের বহনকারী বিভিন্ন সাজে সজ্জিত গাড়িগুলো শোভা পাচ্ছে নানান রঙের বর্ণিল কাগজ ও ব্যানারে। বাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, নছিমন, করিমন, ইজিবাইক, ভটভটি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, আর পায়ে হাঁটা মানুষের উপস্থিতি যেন মনের খোরাক মেটাবার সুন্দর উপভোগ্য এক পরিবেশ।

বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা শহর এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের নামে লেখা ব্যানারগুলো শোভা পাচ্ছে গাড়িগুলোতে। গাড়ির মধ্যে মাইক বাঁজিয়ে, নেচে-গেয়ে আনন্দ করতে দেখা গেছে পর্যটকদের। তিস্তার অববাহিকায় স্থানীয় বাসিন্দারা নানান রকম খাবারের দোকানসহ বাড়তি বিনোদনের জন্য বসিয়েছেন চর্কিখেলা, মিনি লটারি, বেলুন টার্গেট সুটখেলাসহ বিভিন্ন সামাজিক খেলা। আর এখানে বাড়তি বেচাকেনায় দোকানিরাও বেশ খুশি।

Tista

আরও বেশি বিনোদন উপভোগের জন্য নদীর ধারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্পিডবোট ও নৌকা।

ভ্রমণপিপাসুরা মোবাইলে সেলফি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। কী যে মজা! প্রকৃতির আলো বাতাস জীবনকে ধন্য করে তুলছে। প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ উপভোগের পাশাপাশি সঙ্গে রয়েছে নিজেদের রান্না করা খাবার। প্রকৃতির মাঝে খোলা আকাশের নিচে এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, মুক্ত পরিবেশে মন খুলে খোশগল্প করা; আনন্দের মাত্রা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

এমআরএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।