‘মামা আমাগোরে তিন কাপ গরম চা দেন’


প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ২৬ জুন ২০১৭

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১২টা। গাজিপুরের শিমুলিয়া এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে একটি চায়ের দোকানে আড্ডা মারছিলেন কারা অধিদফতরের এআইজি (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। হঠাৎ সেখানে হাজির হয় আনুমানিক ছয় সাত বছরের তিনজন ক্ষুদে শিশু। বড়দের মতো হাঁক ছেড়ে চায়ের অর্ডার দেয় ওরা। দোকানি ও দোকানে চা পানরত ক্রেতারা অবাক দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকায়।

সবাইকে নিজেদের দিকে তাকাতে দেখে কী যেনো ভেবে ওরা পকেট থেকে টাকা বের করে দেখিয়ে আবার বলে, এই যে মামা, তিন কাপ চা দেন তাড়াতাড়ি। দোকানি চা বানিয়ে সামনে এনে দেয়ার পর ফুঁ দিয়ে গরম চায়ে চুমুক দেয় ওরা। এরপর তুলে তৃপ্তির ঢেকুর।

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিশু তিনজন সম্ভবত ওই এলাকাতেই থাকে। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারের ওই শিশুরা ঈদের বখশিস পেয়ে অর্ডার দিয়ে চা খেতে সেখানে এসেছিল। ওদের চা খাওয়ার দৃশ্যটি ছিল সত্যিই দেখার মতো বলেই হাসলেন কারা অধিদফতরের এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

ঈদ মানেই আনন্দ, আর আনন্দের প্রায় সবটুকুই শিশুদের। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে শিশুদের ঈদের আনন্দ উদযাপনের প্রস্তুতি ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই চলতে থাকে। সাধ্যের ভেতর কেউ অভিজাত শপিং মল আবার কেউবা ফুটপাত থেকে সন্তানদের জামা জুতা ও সাজসজ্জার সরঞ্জাম কিনে দেন।

আজ ঈদের দিন। রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সর্বত্রই শিশুদের খুশি মনে ঈদ উদযাপন করতে দেখা গেছে।

কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নতুন জামা-কাপড় পরে ঈদগাহ কিংবা মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া, ফিরে এসে ঈদের সালামি আদায় করতে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ছুটোছুটি। এরই মাঝে হাতে সালামি আসতেই চকলেট, আইসক্রিম, চিপস, পানীয় কিনে খাওয়া শুরু হয়। যৌথভাবে রিকশা ভাড়া করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে দেখা যায় অপেক্ষাকৃত দুরন্ত প্রকৃতির শিশুদের।

এ দিনটিতে পড়াশুনার চাপ ও বাবা মায়ের কড়া শাসন না থাকায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় হাসি খুশি মনে শিশুরা ঈদ পালন করে থাকে।

এমইউ/কেএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।