জি আর ই এর প্রয়োজনীয়তা


প্রকাশিত: ০৪:২১ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন (Graduate Record Examination)” –কে সংক্ষেপে বলা হয় “জি আর ই (GRE)”। এটি মূলতঃ এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস (ETS) –এর একটি রেজিস্টার্ড এডুকেশনাল ব্র্যান্ড, তাই একে লেখা হয় GRE®। আমেরিকার ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (ব্যাচেলর ডিগ্রির পর এমএস/ পিএইচডি প্রোগ্রাম) ভর্তির জন্য জি আর ই অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।

সাধারণত নিম্ন লিখিত আটটি বিষয়ের উপর বিষয়ভিত্তিক জি আর ই টেস্ট দেয়া যায়ঃ
১। প্রাণরসায়ন (Biochemistry), কোষ এবং আণবিক জীববিজ্ঞান (Cell and Molecular Biology)
২। জীববিজ্ঞান (Biology)
৩। রসায়ন (Chemistry)
৪। কম্পিউটার সাইন্স
৫। ইংরেজি সাহিত্য (Literature in English)
৬। গণিত (Mathematics)
৭। পদার্থ বিজ্ঞান (Physics)
৮। মনোবিজ্ঞান (Psychology)

যে কেউ চাইলে এর যেকোনো বিষয়ের উপর বিষয় ভিত্তিক জি আর ই টেস্ট দিতে পারবে। আর সাধারণ জি আর ই –এর অন্তর্ভূক্ত বিষয়গুলো হল, ভার্বাল রিজোনিং (Verbal Reasoning), কোয়ান্টিটেটিভ রিজোনিং (Quantitative Reasoning) এবং এনালাইটিক্যাল রাইটিং স্কিলস (Analytical Writing Skills)। সাধারণ জি আর ই টেস্টের জন্য নির্ধারিত এই বিষয়গুলো সকলের জন্য একই রকমের হবেঃ

ভার্বাল রিজোনিং (Verbal Reasoning): এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর ইংরেজী শব্দ ও বাক্যের উপর দক্ষতা কত। ইংরেজীতে আর্টিকেল লেখা থাকবে, সেই আর্টিকেলের বিষয়বস্তুগুলোকে (বাক্য) বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে হবে, এরপর প্রতিটি ভাগকে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে (শব্দগুলোর সাথে বিষয়বস্তুর সম্পর্ক বের করতে হবে)।

কোয়ান্টিটেটিভ রিজোনিং (Quantitative Reasoning): এই অংশকে ম্যাথ সেকশনও বলা হয়।এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর গাণিতিক মৌলিক ধারনা এবং পরিমাণগত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে বীজগণিত, জ্যামিতি ও তথ্য বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা।

এনালাইটিক্যাল রাইটিং স্কিলস (Analytical Writing Skills): এই টেস্টের মাধ্যমে দেখা হবে পরীক্ষার্থীর যে কোনো ধরনের জটিল সমস্যা স্পষ্টভাবে ও সকল বিষয়াদি বিবেচনাধীন রেখে সমাধান করা। এই সমাধান পরিষ্কার ইংরেজীতে লিখতেও হবে।

বাংলাদেশে জি আর ই পরীক্ষাকেন্দ্র :
আমেরিকান অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন। বাসা নং- ১৪৫, রোড নং- ১৩বি, ব্লক- ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩। টেলিফোনঃ (৮৮০-২) ৯৮৮১৬৬৯, ফ্যাক্সঃ (৮৮০-২) ৯৮৮১৬৬৯, ই-মেইলঃ [email protected]

সপ্তাহে তিন দিন এই পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ থাকেঃ শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার। বাকি চার দিন এখানে পরীক্ষা গ্রহন করা হয়। দুইটি সেশনে পরীক্ষা নেয়া হয়ঃ সকাল ৯.০০ মিনিটে এবং দুপুর ১.৩০ মিনিটে।

নোটঃ দিনে দুইবার করে সপ্তাহে চার দিন পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকলেও একজন পরীক্ষার্থী মাসে শুধু একবার এবং বছরে মাত্র পাঁচবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। এর বেশি তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয় না।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।