শিশু বিছানায় প্রস্রাব করলে কী করবেন


প্রকাশিত: ০৬:৫৬ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৫

যে সব শিশু নির্দিষ্ট বয়সের পরেও বিছানায় প্রস্রাব করে তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি রোগ হিসেবে ধরা হয়। ইংরেজীতে একে এনিউরিসিস বলে। সঠিকভাবে চিকিৎসা বা ব্যবস্থাপনার জন্য বিষয়টিকে ঠিকমতো বুঝতে হবে। কী কারণে বা কীভাবে ব্যাপারটা ঘটছে তা এবং এজন্য সামাজিক ও মানসিক বিষয়টা বোঝা। শারীরিকভাবে শিশুকে পুরো কিনিক্যাল পরীক্ষা করা প্রয়োজন। একজন অভিভাবকের জন্য শিশুর টয়লেট ট্রেনিং সম্বন্ধে জানা এবং মনে নেয়াটা খুবই জরুরী। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, ৫ বছরের ৭% ছেলে শিশু এবং ৩% মেয়ে শিশু, ১০ বছরের ৩% ছেলে এবং ২% মেয়ে এবং ১৮ বছরের ১% ছেলে এবং সামান্য সংখ্যায় মেয়ে এ সমস্যায় ভুগে থাকে।

এনিউরিসিস বা বিছানায় প্রস্রাবের কারণ:

১. ঠিকমতো টয়লেট প্রশিক্ষণ না হলে।
২. অনেক সময় শিশুকে খুব তাড়াতাড়ি সময়োপযোগী টয়লেট প্রশিক্ষণে বাধ্য করা হলে তারা স্বেচ্ছায় বিছানায় প্রস্রাব করে থাকতে পারে।
৩. কিছু ক্ষেত্রে শিশুর ঠিকমতো প্রশিক্ষণ না হলে প্রস্রাবের থলের নিয়ন্ত্রণটা শিখতে পারে না।
৪. অনেক সময় মানসিক চাপ যা টয়লেট প্রশিক্ষণের সঙ্গে জড়িত নয় তার কারণেই এমনটি হয়। (১-৪ বছর)।
৫. পরিবেশগত চাপ যেমন নতুন বাড়িতে ওঠা, বিবাহ সংক্রান্ত কলহ, সহোদর-এর জন্ম, প্রিয়জনের মৃত্যু ইত্যাদি।
৬. সামাজিক চাপ যেমন প্রবাসে যাতায়াত, সামাজিক অসুবিধাসমূহ- ঘরে বাড়তি মানুষ, মানসিক রোগ ইত্যাদি।

করণীয়:
১. শিশুকে প্রতিরাতে বিছানায় প্রস্রাব না করার জন্য পুরস্কৃত করা একটি অন্যতম পথ। শিশুর অভিভাবক সপ্তাহের জন্য একটি চার্ট তৈরি করতে পারেন। এবং এক/দুই রাত প্রস্রাব না করলে শিশুকে পুরস্কৃত করবেন। আর যদি তার বেশি রাত্রি সে প্রস্রাব না করে তবে আরও ভাল পুরস্কার দিতে হবে।
২. বড় শিশুদের কাপড় ধোয়া ও পরিষ্করের দায়িত্ব তাকেই দেয়া।
৩. ঘুমানোর আগে শিশুকে প্রস্রাব করানো।
৪. রাত্রিকালীন ঘুমের মাঝে সময় বুঝে দু`তিনবার ঘুম ভাঙ্গিয়ে শিশুকে প্রস্রাব করানো।
৫. কোন অবস্থাতেই শিশুকে মারধর করা, উপহাস বা বিদ্রূপ করা যাবে না।

বিশেষ চিকিৎসা:
১. এল্যার্ম ব্যবস্থা : এটি এক ধরনের বিশেষ এল্যার্ম। যেটি প্রস্রাবের একফোঁটা দু`ফোঁটা পানির সংস্পর্শে এলেই বেজে ওঠে এবং হঠাৎ এ বাজনার শব্দ শুনে শিশু জেগে ওঠে এবং বিছানায় আর প্রস্রাব করে না।

২. ওষুধ প্রয়োগ : ইমিপ্রামিন নামক ওষুধ ব্যবহারেও উপকার পাওয়া যায়। তবে চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ ব্যবহার করা কখনই উচিত হবে না।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।