১৮ বছর ধরে রক্তদান কর্মসূচি

মাহবুবর রহমান সুমন
মাহবুবর রহমান সুমন মাহবুবর রহমান সুমন , ফিচার কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশিত: ০২:১৪ এএম, ১১ মার্চ ২০১৭

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন’ পোস্টগুলো আমাদের এখন আর খুব একটা নাড়া দেয় না। আমরা তেমন সাড়া দেই না সেই আহ্বানে। এমন হতাশার মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করার লক্ষ্যে ১৮ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব।

১৯৯৪ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। এর চার বছর পর ১৯৯৮ সালে  ক্লাবের কয়েকজন সদস্যের উদ্যোগে ৫০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। সেই থেকে শুরু হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি আজ পা রেখেছে ১৮ বছরে। ১৮ বছরের এই পথচলায় ক্লাবটি স্বেচ্ছায় রক্ত সংগ্রহ করেছে ৯ হাজার ৮১১ ব্যাগ।

Blood

রক্তদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ক্লাবটি প্রতি বছরের ৩-৪ দিন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য একটি কর্মসূচির আয়োজন করে। যেখানে শিক্ষার্থীদের রক্তদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেশসেরা তারকাদের। শুধু তাই নয়, স্বেচ্ছায় রক্তদানকারীকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য দেয়া হয় কার্ড।

প্রতি বছরের সংগৃহীত এই রক্ত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে বিতরণ করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের। তাছাড়া নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পরিবারের কারো জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হলে ক্লাব তার ব্যবস্থা করে।

Blood

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, সবচেয়ে বেশি রক্ত তারা এই ক্লাবের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকে।

ক্লাবটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ মুজতাবা সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানুষের জন্যই মানুষ। সংকটে, বিপদে মানুষই ছুটে এসে সাহায্য করবে- এই প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি। না হলে মানব-জন্ম অনেকটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। সেই লক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ও রক্তদানের মত মানবিক ব্যাপারে জরুরি সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই আমারা প্রতি বছর এমন আয়োজন করে থাকি।’

বর্তমানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবে ৩০০ জন সদস্য রয়েছেন। যারা এই রক্তদানের মত মানবিক কাজ ছাড়াও অন্যান্য সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।