মরুভূমিতে মিললো রোমিও-জুলিয়েটের কঙ্কাল!


প্রকাশিত: ১১:১৮ এএম, ০৫ এপ্রিল ২০১৫

মুখ হাঁ হয়ে গেলো তো!  কথা সত্যি। মঙ্গোলিয়ায় গোবি মরুভূমির নীচে পাওয়া গেল রোমিও-জুলিয়েটের কবর। তবে এরা ইংরেজি সাহিত্যিক শেক্সপিয়রের অমর প্রেমের চরিত্র নয়। এরা ডাইনোসর।

একসঙ্গে কঙ্কাল পাওয়া যাওয়ায় বিজ্ঞানীরা এদের নাম রেখেছেন রোমিও-জুলিয়েট। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ৭ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে এই ডাইনোসর দুটিকে কবর দেওয়া হয়েছিলো।

অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রজাতির পাখির আকৃতির ডাইনোসরকে কাছাকাছিই কবর দেওয়া হয়েছিল। কোনও এক প্রবল মরু ঝড়ে কাছাকাছি এসে যায় কঙ্কাল দু`টি। যদিও এরা স্ত্রী না পুরুষ তা জানা যায়নি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ছাত্র স্কট জানিয়েছেন, ডাইনোসরের লিঙ্গ নির্ণয় করা খুবই কঠিন। কারণ এদের জীবাশ্ম খুবই নরম হয়। তা থেকে লিঙ্গ নির্ধারণ প্রায় অসম্ভব।

২০১১-এ এই প্রজাতির ডাইনোসরদের লেজ নিয়ে একটি গবেষণাপত্র পেশ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে, শ্রেণিতে পাখি হলেও এই প্রজাতির ডাইনোসর মাটিতেই চলাফেরা করত। তবে তাদের লেজটি ময়ুর, টার্কি প্রভৃতি পাখির মতো বিপরীত লিঙ্গের ডাইনোসরকে আকৃষ্ট করার জন্যই ব্যবহৃত হত।

গবেষকদের মতে, এই প্রকার ডাইনোসর যদি তাদের লেজ শুধুমাত্র বিপরীত  লিঙ্গকে আকৃষ্ট করার কাজেই ব্যবহার করে থাকত, তাহলে মেনে নিতে হবে তাদের মধ্যে লিঙ্গভেদ ছিল।

তবে এই রোমিও ও জুলিয়েটের কঙ্কালের গঠনের খুব একটা তফাত নেই। রোমিওর লেজটি খানিক বড়। এর থেকে মনে করা হচ্ছে সে পুরুষ হতে পারে। একইভাবে জুলিয়েটের লেজের আকার খানিক ছোট। তা থেকে মনে করা হচ্ছে সম্ভবত সে মেয়ে। তবে কয়েক যুগ ধরে তারা যে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, তা দেখে মনে হতেই পারে প্রেমের চিরন্তন প্রতিমূর্তি রোমিও-জুলিয়েটের মতোই তারাও মৃত্যুর পরেও লালন করে চলেছে তাদের প্রেমকে।
সূত্র : অনলাইন

এলএ/আরআই/এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।