সুস্থতায় এগিয়ে থাকা ৫ দেশ


প্রকাশিত: ০৭:২৭ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

মানুষের অসুস্থতা নিজ অঞ্চলের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। অসুস্থ হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল বলেই জানতাম। কিন্তু যদি শুনি যে কখনোই অসুস্থ হয় না মানুষ। সেটা আবার কোন দেশ। শুধু একটি দেশ নয়; এমন ৫টি দেশের সন্ধান পাওয়া যায়।

তাহলে আসুন জেনে নেই এমন ৫টি দেশের কথা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সালাহ উদ্দিন মাহমুদ

নরওয়ে
স্বাস্থ্যসেবা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে নরওয়ে। দেশটি প্রতিবছর এ খাতে জনপ্রতি ৯,০৫৫ ডলার ব্যয় করে। সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে তারা বিশ্বের সব উচ্চদক্ষতা সম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। যাতে দেশে কোন বিশেষ রোগের চিকিৎসা করা না গেলে তাকে সহজেই পাঠিয়ে দেয়া যায় বাইরে। দেশের অভ্যন্তরেও তারা অনেক কম খরচে সেবা প্রদান করে। জাতিকে সুস্থ রাখার প্রয়াসে নরওয়ে সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে থাকে।

কাতার
কাতারের মানুষ খুব কমই স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। তারা তেমন একটা অসুস্থই হন না। সম্ভবত এখানকার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই ভালো। এছাড়া জীবনব্যাপী এই সুস্থতার আর কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না! তাদের প্রতি ১ হাজার জন মানুষের জন্য ৭.৭ জন ফিজিশিয়ান রয়েছে। যদিও তাদের গড় আয়ু মাত্র ৭৭.৬ বছর এবং একই সঙ্গে তারা সারা বিশ্বে অতিস্থূলতার জন্য ২য় অবস্থানে রয়েছে। তবু তাদের সার্বিক মৃত্যুহার খুবই কম। কাতারে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় বিনা মূল্যে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পর্যায়ে এবং স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি এখানে খুবই উন্নত মানের।

সুইজারল্যান্ড
সুস্থতার দিক থেকে সুইজারল্যান্ড ৩য় অবস্থানে রয়েছে। সম্ভবত এই অঞ্চলের ঠান্ডা, বরফ শীতল আবহাওয়া এর মূল কারণ। সুইজারল্যান্ডে মৃত্যুহার প্রতি ১ হাজার জনে ৯ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার হল, তাদের অ্যালকোহল সেবনের মাত্রা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় শতকরা ৭৩ ভাগ বেশি এবং শতকরা ২২ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক নারী এবং শতকরা ৩১ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ধূমপায়ী। এসব বদভ্যাস থাকার পরও তারা একটি সুস্থ্য জাতি।

লুক্সেমবার্গ
দেশটি জনপ্রতি স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ের দিক থেকে ৪র্থ। স্বাস্থ্যসেবায় অর্থ ব্যয় করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দিক থেকেও দেশটি মানুষের সুস্থতার অনুকূলে। এই অঞ্চলের মানুষ শক্ত সামর্থ্য, মজবুত এবং সহজে অসুস্থ হয় না। কিন্তু এখানেও মানুষ অতিস্থূলতা এবং মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল আসক্তিতে ভোগে। দেশটি জনগণের জন্য বিনামূল্যে উচ্চমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।

জাপান
জাপানের মানুষ দীর্ঘজীবী এবং সুস্থ হয়ে থাকে। জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার পাশাপাশি তারা নিজেদের চিকিৎসা ব্যবস্থারও উন্নতি করে যাচ্ছে। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং রোগ নির্ণয় যন্ত্র তারা নিজেরাই আবিষ্কার করেছে। জাপানে চিকিৎসা ব্যয়ের শতকরা ৭০ ভাগ সরকার বহন করে থাকে।

এসইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।