মালয়েশীয় ভিসা আবেদনের নিয়ম


প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৪

কেবলমাত্র বিমানবন্দরের মাধ্যমে বৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশ করা যায়। মালয়েশিয়া সরকার প্রধানত দু’ধরনের ভিসা দেয়:

১.রেফারেন্স ছাড়া ভিসা (Visa Without Reference, VWTR): বিভিন্ন দেশে মালয়েশীয় মিশন থেকে এ ধরনের ভিসা ইস্যু করা হয়।

২.রেফারেন্স সহ  ভিসা (Visa with reference, VWR): মালয়েশীয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের অনুমোদনের মাধ্যমে ভিসা ইস্যু করা হয়।

কিছু বিশেষ তথ্য
    ১.মালয়েশিয়া প্রবেশের আগেই মালয়েশিয়া কনস্যুলেট বা দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ   করতে হবে।
    ২.কেবলমাত্র বিমানবন্দরের মাধ্যমে মালয়েশিয়া প্রবেশ করা যায়।
    ৩.মালয়েশীয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক বা উপ মহাপরিচালকের অনুমোদন ছাড়া সোস্যাল বা বিজনেস কার্ডের মেয়াদ বাড়ানো যায় না।

রেফারেন্স ছাড়া ভিসার শর্ত
    ১.রেফারেন্স ছাড়া ইস্যু করা ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ দিন অবস্থানের অনুমতি দেয়া হয়,  মেয়াদ বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। আর ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ অনেক কম থাকে।
    ২.যিনি মালয়েশিয়া ভ্রমণে যাচ্ছেন তিনি কোন দেশ থেকে যাচ্ছেন বা তিনি যে দেশে বসবাস করেন সে দশে ফেরার বিমান টিকেট থাকতে হবে। অবশ্য যদি মালয়েশিয়া ভ্রমণের পর অন্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে তবে সে দেশে যাওয়ার বিমান টিকেট দেখালেই হবে।

রেফারেন্সসহ ভিসার শর্ত
    ১.কেবলমাত্র ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এই  ভিসা ইস্যু করা হয়।
    ২.ভ্রমণটি মালয়োশীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্পন্সর করতে হবে। যে প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করবে সেটিকে অবশ্যই একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হতে হবে এবং ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে ফর্ম ৯, ২৪ এবং ৪৯ জমা দিতে হবে।
    ৩.স্পন্সরকে জনপ্রতি দুই হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত জামানত হিসেবে জমা দিতে হবে।
    ৪.ভ্রমণকারী সর্বোচ্চ ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবেন এবং মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেই।

মালয়েশিয়ায় ভিসা আবেদনের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে

ভিসা আবেদন ফরমটি www.imi.gov.my সাইট থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। সরাসরি ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হয় না। ২৫টি অনুমোদিত এজেন্সীর মাধ্যমে ভিসা আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে। আর ভিসা ইস্যু করার বিষয়টি দূতাবাসের ওপর নির্ভরশীল।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি

    ১.সাদা পটভূমিতে (ব্যাকগ্রাউন্ড) দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি; ছবিগুলোর স্টুডিও প্রিন্ট হতে হবে।
    ২.পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ৬ মাস হতে হবে এবং পাসপোর্টে অন্তত তিনটি ধারাবাহিক খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
    ৩পাসপোর্টের ফটোকপি ও মূলকপি।
    ৪.আগে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করে থাকলে ভিসার কপি।
    ৫.ফিরতি বিমান টিকেটের কপি।
    ৬.আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ হিসেবে অন্তত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সাথে ব্যাংক সলভেন্সি স্টেটমেন্ট। বাংলাদেশর বাইরে অবস্থানরতদের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড।
    ৭.ভ্রমণের কারণ উল্লেখ করে করা আদেনপত্র।
    ৮.কারো আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া গেলে আমন্ত্রণপত্র বা রেফারেন্স লেটার।
    ৯.বাংলাদেশে বসবাস করছেন অথচ বাংলাদেশী নন এমন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে চাকরি এবং বাংলাদেশে থাকর অনুমতিপত্র দেখাতে হয়।
 

 ভিসা ফি:
    বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ৩,১০০ টাকা,
    চীনা পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ৩,৩০০ টাকা,
    ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ৩,৮০০ টাকা,
    অন্যান্য দেশের পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে, ৩,১০০ টাকা।

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।