তারুণ্য ধরে রাখবে ডাবের পানি
ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি। এতে পটাশিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। বমি হলে মানুষের রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। ডাবের পানি পূরণ করে এই ঘাটতি। তাই অতিরিক্ত গরম, ডায়রিয়া, বমির জন্য উৎকৃষ্ট পানীয় ডাবের পানি।
এতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়, পুরো দেহের শিরা-উপশিরায় সঠিকভাবে রক্ত চলতে সাহায্য করে। কারণ, পানি বেশি পান করলে কিডনির কাজ করতে সুবিধা হয়, দেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়ে, ত্বকসহ প্রতিটি অঙ্গে পৌঁছায় বিশুদ্ধ রক্ত। ফলে পুরো দেহ হয়ে ওঠে সতেজ ও শক্তিশালী।
এতে কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকার জন্য বাড়ন্ত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্য ডাবের পানি যথেষ্ট উপকারী। তারুণ্য ধরে রাখতে ডাবের পানি যথেষ্ট উপযোগী। এতে চিনির পরিমাণও অল্প।
তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ডাবের পানি খাবেন। কিডনিতে পাথর হয়েছে বা ডায়ালাইসিস চলছে, এ ধরনের রোগীরা এই ফল খাবেন না। কারণ, এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
যারা সুস্থ মানুষ, তাদের কিডনির জন্য ডাবের পানি আশীর্বাদস্বরূপ। কিডনি দেহের ছাঁকন যন্ত্র। এই অঙ্গ শরীরের নোংরা ও ক্ষতিকর অংশগুলোকে দেহের বাইরে বের করতে সাহায্য করে। এই ফলে নেই কোনো ভিটামিন এ। তার পরও শরীরের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম রয়েছে ডাবের পানিতে, যা হাড়কে করে মজবুত। সেই সঙ্গে জোগায় ত্বক, চুল, নখ ও দাঁতের পুষ্টি।
এইচএন/আরআই