পানির নিচে গণকবর


প্রকাশিত: ০৬:৪৭ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৬

মুসলমানদের গোরস্থান, খ্রিষ্টানদের গ্রেভইয়ার্ড বা মিশরের পিরামিড- এসবই আমাদের জানা। কিন্তু পানির নিচে কবরের কথা কি কেউ শুনেছেন? আসুন তবে জেনে নেই পানির নিচে গণকবর কোথায়?

কঙ্কাল লেক
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০০০ মিটার উপরে থাকা হিমালয়ের পাদদেশেই রয়েছে রূপকুণ্ড লেক। ১৯ শতকে প্রথম এর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। ১৯৪২ সালে কোনো এক গরমের দিনে বরফ গলে এটি আবিষ্কার হয়। অগণিত কঙ্কাল সেখানে পানির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়। রেডিও কার্বন টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়, কঙ্কালগুলো ৮০৫ সালের। ধারণা করা হয়, একদল যাত্রী এক ভয়ানক শিলাবৃষ্টিতে আটকা পড়েন। পরে সেখানেই তাদের সলিল সমাধি হয়ে যায়।

Yam

নিমজ্জিত খুলি
২০০৯ সালে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল সুইডেনের একটি ঐতিহাসিক লেকে রহস্যময় এমন একটি সমাধিক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছেন, যেখানে শুধু মানুষের খুলি ছিল। লেক ভেট্টানের দক্ষিণ দিকে এর অবস্থান। এখানে ৮০০০ বছর আগের খুলি পাওয়া যায়। এছাড়াও সেখান থেকে মানুষের হাড়, প্রাণির শিং, পাথর এবং হাড়ের তৈরি বাসন পাওয়া যায়।

Roopkund

ব্ল্যাক হোল
মেক্সিকোর একটি সমুদ্রের তলদেশে প্রাচীন গুহা থেকে ডুবুরীরা কিছু প্রাচীন দেহাবশেষ আবিষ্কার করেছে। একে হোয়ো নারগো বা ব্ল্যাক হোল বলা হয়। দেহাবশেষগুলো ১২০০০ বছর আগের। জানা যায়, এটি একটি নারীর দেহাবশেষ। সম্ভবত সে সময় পানি খুঁজতে তিনি গুহার ভেতরে চলে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

Naia

গঙ্গার তীরে দেহ
২০১৫ সালে ভারত সরকার জানায়,  তারা গঙ্গার ধারে ৮০টিরও বেশি মৃতদেহ পেয়েছে। যাদের বেশির ভাগ বাচ্চা। তাদের শরীর পঁচে যাওয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, সবকটি মৃতদেহের সলিল সমাধি হয়েছিল।

Uayum

লেক ওকিচবির রহস্যময় কঙ্কাল
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় লেক ওকিচবি নানান রহস্য, উপকথা এবং কঙ্কালে পরিপূর্ণ। ১৯০০ সালের শুরুর দিকে ঔপনিবেশিকরা এই লেক থেকে মানুষের অনেক হাড় খুঁজে পান। সে সময়ে জেলেদের জালে প্রায়ই এরকম কঙ্কাল উঠে আসত। লেকের অল্প পানিতে প্রচুর হাড় পাওয়া যেতো। একটি ঘাসে ভরা আইল্যান্ড খনন করার সময় সেখানে প্রায় ৫০টি কঙ্কাল পাওয়া গেছে। ১৯১৮ সালে সবচেয়ে বড় আকারে যে সমাধির সন্ধান পাওয়া গেছে সেখানে প্রায় শ’খানেক কঙ্কাল ছিল।

সূত্র: লিস্টভার্স ডটকম

এসইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।