যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রের ৭ অজানা


প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বারাক ওবামার ২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের একটি বড় পয়েন্ট ছিল পারমাণবিক অস্ত্রের নিরস্ত্রীকরণ। যদিও এখনো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে তা দিয়ে পৃথিবী ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব। চলুন জানা যাক আরো কিছু তথ্য-

২য় সর্বোচ্চ
১৯৭০-এর পর পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ করার চুক্তি হলেও এখনো আমেরিকাতে যে অস্ত্রের মজুদ আছে তা পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম অবস্থানে আছে রাশিয়া। তাদের আছে ৮৫০০ পারমাণবিক অস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের ৭৭০০।

অস্ত্রের প্রকারভেদ
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রে আছে নানান প্রকারভেদ। ভূমি থেকে ছোড়া যাবে এমন ক্ষেপণাস্ত্র  থেকে শুরু করে সাবমেরিনে ব্যবহারযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত আছে। এই নিউক্লিয়ার মিসাইলগুলো যে কোনো লক্ষ্যকে মুহূর্তে ধ্বংস করে দিতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিবেচনা করা হয় সাবমেরিন ক্ষেপণাস্ত্রকে।

প্রতিরক্ষা বাজেটের অংশ নয়
পারমাণবিক অস্ত্রের মজার বিষয় হলো- এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেটের অংশ নয়। এটি জ্বালানি ও শক্তি বিভাগের অংশ (ডিওই)।

রক্ষণাবেক্ষণ বেসরকারি
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রাগারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ বেসরকারিভাবে করে থাকে দেশটির সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৩০ বছরে এই রক্ষণাবেক্ষণ কাজে খরচ হবে কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।

অনেক অস্ত্র দেশের বাইরে
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পারমাণবিক অস্ত্র রাখা আছে দেশের বাইরে। তবে সবই বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র। এর মধ্যে তুরস্কও আছে। আবার ন্যাটোভুক্ত জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ও ইতালিতেও আছে।

হারিয়ে গেছে
রাশিয়ার সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের সময় বেশক’টি পরমাণু বোমা ও সেগুলোর উপকরণ হারিয়ে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। কারো মতে সংখ্যাটা ৭ বা ৮।

প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চাইলে যেকোনো সময় কারো কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই পরমাণু বোমা হামলা চালাতে পারেন।

এসইউ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।