যে দশ জায়গায় ইসলামি পোশাক নিষিদ্ধ


প্রকাশিত: ০৬:৫১ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

অনেক দেশেই এখন বোরকা নিষিদ্ধ। তালিকায় পিছিয়ে নেই মুসলিম দেশও। বিভিন্ন সময়ে বোরকা পরে বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলার কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা। তবে এই নিষিদ্ধের তালিকায় এগিয়ে থাকা ১০টি অঞ্চলের কথা জানা যাক এবার-

ভিরাল্লো স্যাজিয়া, ইতালি
virallo
সম্প্রতি ইতালির ভিরাল্লো স্যাজিয়া শহরের মেয়র ‘বুরকিনি’র (মুসলমানদের সাঁতারের পোশাক) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

বেলজিয়াম
belgium
২০১১ সাল থেকে বেলজিয়ামে বোরকা নিষিদ্ধ। সেখানকার আইন অনুযায়ী বোরকা পরলে জরিমানাসহ ৭ দিনের জেলও হতে পারে।

স্ট্রাভাপুল, রাশিয়া
Stavropol
রাশিয়ার স্ট্রাভাপুল শহরে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন লোকের বাস। এর ১০ শতাংশ মুসলমান। যদিও এর সংখ্যা অনেক বেশি তবুও এই শহরের সব স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নেদারল্যান্ডস
nedarland
নেদারল্যান্ডস এখনও বোরকা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেনি কিন্তু এর প্রক্রিয়া চলছে। সেই সাথে আইন না মানলে থাকছে উচ্চ অর্থদণ্ড।

ক্যামেরুন
cameroon
২০১৫ সালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বোকোহারামের ২টি আত্মঘাতী হামলার পর উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সরকার পুরো মুখ ঢেকে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছে। ওই হামলা দুটোয় ১৩ জন নিহত হয়।

রেওস, স্পেন
Reus
২০১৪ সালে রেওস শহরে বোরকা ও হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যদিও স্পেনের সংবিধানে থাকা ধর্মীয় স্বাধীনতার নিয়ম অনুযায়ী এই আইন কাজ করবে না।

ফ্রান্স
france
ইউরোপে সর্বপ্রথম ফ্রান্স বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৫ সালে প্রায় ১৫০০টি অর্থদণ্ডের ঘটনা ঘটে বোরকা পরার কারণে।

মিসর
egypt
মিসর সরকার বর্তমানে একটি আইন করার কাজ করছে, যাতে বোরকা বা হিজাবজাতীয় কোনো পোশাক পাবলিক প্লেসে পরা যাবে না।

চাদ
Chad
২০১৫ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার পর চাদে বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সিরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়
s-uni
শুনতে অবাক লাগলেও সিরিয়ায় ২০১০ সাল থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আছে বোরকা ও হিজাবের ওপর। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ হিজাব বা বোরকা পরে থাকতে পারবে না।

সূত্র: লিস্টভার্স ডটকম

এএ/এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।